বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিরোনামে ওয়াকফ আইন (WAQF Act)। এই বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে বাংলা সহ দেশের নানান প্রান্তে প্রতিবাদ হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) অবধি। শীর্ষ আদালতে জমা পড়েছে একাধিক আর্জি। এদিন সেগুলির শুনানি হল প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না (CJI Sanjiv Khanna), বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের তিন সদস্যের বেঞ্চে। সেখানেই কেন্দ্রের উদ্দেশে বড় প্রশ্ন করেন সিজেআই খান্না।
ওয়াকফ-শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যা হল…
জানা যাচ্ছে, এদিন অন্তর্বর্তী রায় দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিল শীর্ষ আদালত। তবে কেন্দ্রের তরফ থেকে আরও একটি দিন সময় চাওয়া হয়। আগামীকাল ফের এই মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার যুক্তি শোনা হবে। তবে তার আগে এদিন আদালত বেশ কিছু প্রস্তাব দেয়।
এদিন শুনানি চলাকালীন ওয়াকফ আইন নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। ওয়াকফ বোর্ডের (WAQF Board) ২২ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র ৮ জন কেন মুসলিম? প্রশ্ন করে আদালত। এতে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কার্যত বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন সলিসিটর জেনারেল। সেই নিরিখে শীর্ষ আদালতের বেঞ্চে মামলার শুনানি হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন তুষার।
আরও পড়ুনঃ ‘অনিচ্ছুক মহিলার স্তনে হাত দেওয়া…’! হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের প্রেক্ষিতে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
পাল্টা সিজেআই খান্না বলেন, ‘আমরা যখন বিচারপতির আসনে বসি, আমাদের ধর্ম থাকে না। সব পক্ষই আমাদের কাছে সমান’। এখানেই না থেমে এদেশের প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘তার মানে কী বলতে চাইছেন, হিন্দুদের দাতব্য ট্রাস্টের বোর্ডে মুসলিমদের স্থান হবে? প্রকাশ্যে বলুন’।
জানা যাচ্ছে, এদিন সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলাকালীন মুর্শিদাবাদ প্রসঙ্গও (Murshidabad Violence) উঠে আসে। প্রধান বিচারপতি বলেন, মামলা বিচারাধীন থাকাকালীন এই ধরণের হিংসা কাম্য নয়। সেই সংঙ্গেই তাঁর মত, ’২৬ নম্বর ধারা ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে। সব সম্প্রদায়ের জন্য এটা প্রযোজ্য’।
উল্লেখ্য, ওয়াকফ আইন সারা দেশ জুড়ে কার্যকর হওয়ার পর থেকেই নানান প্রান্তে উঠেছে প্রতিবাদের ঢেউ। বাংলাও ব্যতিক্রম নয়। অশান্ত হয়েছে রাজ্যের নানান এলাকা। ইতিমধ্যেই এই ওয়াকফ ইস্যু সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) অবধি পৌঁছেছে। আগামীকাল শীর্ষ আদালতে ফের শুনানি রয়েছে। আপাতত সেদিকেই নজর সকলের।