বাংলা হান্ট ডেস্কঃ খাস কলকাতায় ভুয়ো ভ্যাকসিন প্রদানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে রীতিমতো সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এমনকি ভ্যাকসিন ক্যাম্প থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন অভিনেত্রী তথা সাংসদ মিমি চক্রবর্তীও। যার জেরে পেটে ব্যথা এবং অন্যান্য উপসর্গও শুরু হয়েছে তার। ইতিমধ্যেই এই ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্প থেকে ভ্যাকসিন নেওয়া সমস্ত মানুষের শারীরিক পরীক্ষা করার জন্য ক্যাম্পেরও আয়োজন করেছে কলকাতা পুরসভা।
কিন্তু ভ্যাকসিন দেওয়ার অধিকার কিভাবে পেলেন দেবাঞ্জন দেব? ইতিমধ্যেই সেই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। যার জেরে সামনে এসেছে একাধিক তথ্য। গ্রেফতার হয়েছেন দেবাঞ্জন সহ আরো তিনজন। এমনকি দেবাঞ্জনের নামে পাওয়া গেছে জয়েন্ট মিউনিসিপাল কমিশনারের কার্ডও। এই আই কার্ডে ছিল পুর কমিশনার বিনোদ কুমারের স্বাক্ষরও। সেই স্বাক্ষর সঠিক কিনা তা এখনও খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা। যার জেরে ভুয়ো ভ্যাকসিন রহস্য এখন নতুন মোড় নিয়েছে।
আর এবার সংবাদমাধ্যমের হাতে এলো খোদ নবান্নের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পত্র। তিন মাসের চুক্তিতে দেবাঞ্জনের নিরাপত্তারক্ষীকে নিয়োগ করেছিল স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য বিষয়ক দপ্তর। যদিও এই নিয়োগপত্রের সত্যতা যাচাই করে দেখেনি বাংলা হান্ট। কিন্তু এই ঘটনা যদি সত্যি হয়, তবে তা কতখানি মারাত্মক হতে পারে তা বলাই বাহুল্য।
কার্যত এর আগেও একাধিক বিধায়ক এবং নেতা মন্ত্রীর সাথে ছবি দেখা গিয়েছিল দেবাঞ্জনের। যার জেরে তিনি শাসকদল ঘনিষ্ঠ বলেই মনে করেছিলেন বিশ্লেষক মহল। শাসকদল ঘনিষ্ঠ একজনের কাছ থেকেই যদি এভাবে ভুয়ো ভ্যাকসিন ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মধ্যে। তাহলে আগামী দিনে পরিস্থিতি যে কতটা সংকটময় হতে পারে তা বলাই বাহুল্য।
ভ্যাকসিন নিয়ে এখন রীতিমতো সংকটজনক পরিস্থিতিতে রয়েছেন মানুষ। প্রয়োজনের তুলনায় যোগান সামান্যই আর তার জেরেই ফুলেফেঁপে উঠছে এ ধরনের ভুয়ো সংস্থাগুলি। কোথাও চলছে ব্ল্যাক মার্কেট, কোথাও আবার মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে চলছে ছিনিমিনি খেলা। এখন আগামী দিনে ভ্যাকসিন কান্ড কোন দিকে গড়ায়, সে দিকেই নজর থাকবে সকলের।