বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ হত্যাকাণ্ড (RG Kar Case) এবং আর্থিক দুর্নীতি, দুই মামলারই তদন্ত করছে সিবিআই। তদন্ত প্রক্রিয়া যত এগোচ্ছে ততই সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার যেমন জানা যাচ্ছে, আরজি কর কাণ্ডে ‘পূর্ব পরিকল্পনা’র আভাস পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা!
ঘুরে গেল আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) মোড়?
আরজি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র ও প্রভাবশালী যোগে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে নিম্নমানের এবং জাল ওষুধ সরবরাহ চক্রের খোঁজ মিলেছে। সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, এই চক্রের নেপথ্যে ‘রাজনৈতিক প্রভাবশালী’রা আছেন বলেও তদন্তে ইঙ্গিত মিলেছে। এবার এই দুই মামলার তদন্ত এগোনোর সঙ্গেই ‘পূর্ব পরিকল্পনা’র আভাস পাওয়া গিয়েছে বলে খবর।
রিপোর্ট বলছে, জোড়া মামলার তদন্তের ইঙ্গিত, ওষুধ দুর্নীতি, আর্থিক দুর্নীতি এবং বৃহত্তর ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনায় তিলোত্তমাকে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ ও খুনের আশঙ্কা খারিজ করে দেওয়া যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই আরজি কর ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের (RG Kar Case) ঘটনায় তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
আরও পড়ুনঃ এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে মিলবে ২০০০ টাকা! কবে থেকে চালু হচ্ছে? নয়া ঘোষণা সামনে আসতেই শোরগোল রাজ্যে
কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে জানা যাচ্ছে, সন্দীপ (Sandip Ghosh) এবং অভিজিতের ফোনের ফরেন্সিক পরীক্ষা করার পর চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের প্রমাণ লোপাটে দু’জনের জড়িত থাকার সন্দেহ আরও জোরালো হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে আরও অনেকের জড়িয়ে থাকার বিষয়টি আড়াল করার আভাসও মিলেছে বলে খবর। এসব কারণে ‘পূর্ব পরিকল্পিত’ভাবে এই ঘটনা ঘটানোর সম্ভাবনা আরও তীব্র হচ্ছে। সিবিআই সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
এদিকে আরজি কর ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডে (RG Kar Case) ইতিমধ্যেই সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। জানা যাচ্ছে, তাদের তদন্তের তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিটও পেশ করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে আগেই দাবি করা হয়েছিল, ধর্ষণ খুনের ঘটনা স্বীকার করেছে ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার। তবে সিবিআই সূত্রে দাবি, তাদের হেফাজতে তো বটেই, বিচারকের কাছেও ওই দাবি বজায় রেখেছে সঞ্জয়।