বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদ্রবি সমর্থকরা বৃহস্পতিবার ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে ঢুকে হাঙ্গামা করে আর ভাঙচুর চালায়। ট্রাম্পের সমর্থকরা ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে চলা আলোচনা সভার সময় ঢুকে সেনেট চেম্বার পর্যন্ত পৌঁছে যায় আর উপরাষ্ট্রপতি এবং হাউস স্পিকারের চেয়ারে কবজা জমায়।
ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হাঙ্গামার মামলায় এখনো পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও অনেক উপদ্রবিদের কাছ থেকে হাতিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসি মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, পাঁচটি বন্দুক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ আপাতত প্রদর্শনকারীদের ক্যাপিটল বিল্ডিং থেকে দূরে সরানোর কাজ করছে আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারফিউ জারি করেছে।
জানিয়ে রাখি, ট্রাম্প সমর্থকদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে রয়েছে ওয়াশিংটন ডিসি (Washington, D.C.)। ডোনাল্ড ট্রাম্প (donald trump) কোনভাবেই মানতে পারেননি নির্বাচনে বিডেনের জয়লাভ। কোনভাবেই হোয়াইট হাউসে নিজের জায়গা ছেড়ে দিতে নারাজ বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ট্রাম্প সমর্থকরা তীব্র বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন ক্যাপটালে।
প্রথম থেকেই নানা সমস্যা দেখা দিলেও, মাঝে বেশকিছু দিন সবকিছু শান্ত ছিল। ধারণা করা হয়েছিল, ট্রাম্প বুঝি এবার শান্ত হয়েছেন। কিন্তু না, উল্টে ট্রাম্প সমর্থকরা ‘মার্চ টু সেভ অ্যামেরিকা’ ব্যানার নিয়ে রাস্তায় নামলেন। শ্লোগান দিলেন ট্রাম্পের নামে। এমনকি স্যোশাল মিডিয়ায় এই সকল হিংসাত্মক ভিডিও পোস্ট করায় ট্রাম্পের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট ১২ ঘন্টার জন্য এবং ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ২৪ ঘন্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সমর্থকদের সঙ্গে রাস্তায় নেমে ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ভবনের সামনে প্রথমে বিক্ষোভ ও পরে হামলার ঘটনার ভিডিও এবং বক্তব্য নিজের ট্যুইট অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করেছিলেন ট্রাম্প। সেখানেই কিছু আপত্তিকর শব্দ খুঁজে পাওয়ায় ট্রাম্পকে সতর্ক করে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। ট্যুইটার থেকে জানানো হয়েছে, ‘ক্যাপিটালে হিংসাত্মক ঘটনার তিনটি ভিডিও অবিলম্বে ট্যুইটার থেকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে এবং ১২ ঘণ্টার জন্য ট্রাম্পের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ রাখা হচ্ছে। অন্যথায় অ্যাকাউন্টটি স্থায়ী ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে’।
পাশাপাশি ফেসবুক ট্রাম্পের সমস্ত ভিডিও তুলে নেয় এবং সেইসঙ্গে ইন্সটাগ্রাম কর্তৃপক্ষ বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টও ২৪ ঘন্টার জন্য বন্ধ করে দেয়। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন।