বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে কাল ব্রাজিলের বিদায় ঘটে গিয়েছে। টাইব্রেকারে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হার মানতে হয়েছে সাম্বা ব্রিগেডকে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খেলার ফলাফল না আসায় খেলা গড়িয়েছিল অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে শেষ দিকে তারকা গোলরক্ষক নেইমার জুনিয়র বিশ্বমানের গোল করে ব্রাজিলকে লিড এনে দিয়েছিল। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে পেটকোভিচের গোলে সমতায় ফেলে ক্রোয়েশিয়া।
এরপর অবধারিত ভাবে খেলা গড়ায় পেনাল্টি শ্যুট আউটে। ব্রাজিলের হয়ে নেওয়া প্রথম পেনাল্টি কিকটি মিস করেন তরুণ রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড রদ্রিগো। ক্রোয়েশিয়ার একটিও পেনাল্টি সেভ করতে ব্যর্থ হয় ব্রাজিলের গোলরক্ষক অ্যালিসন। এর মধ্যে ব্রাজিলের চতুর্থ প্যানেল থেকে একটি অভিজ্ঞ মার্কুইনস গোলপোস্টে মারায় ক্রোয়েশিয়ার জয় পঞ্চম কিকের আগেই নিশ্চিত হয়ে যায়।
এরপর কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা ব্রাজিল শিবির। ম্যাচ জয়ের আনন্দ কিছুক্ষণের জন্য স্তিমিত রেখে ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক লুকা মদ্রিচও এগিয়ে এসে নিজের রিয়াল মাদ্রিদের সতীর্থদের সান্তনা দেন। আরও একবার নেইমারের কান্না ভেজা মুখ দেখতে হয় ফুটবলবিশ্বকে। এইসব কি সকলের মন ছুয়ে নেওয়ার মতো একটি ঘটনা ঘটে।
ড্যানি আলভেসের চেষ্টা সত্ত্বেও নেইমারের কান্না বন্ধ হয়নি। ফুফু করে যখন মনের দুঃখে কেঁদে চলেছেন ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার তখন আছমকাই ক্রোয়েশিয়ার জার্সি পরিহিত একটি বাচ্চা এগিয়ে আসেন নেইমারের দিকে। ওখানে উপস্থিত সিকিউরিটি গার্ড নেইমারের কাছে বাচ্চাটিকে পৌঁছতে দেননি। কিন্তু তারপর বাচ্চাটি নেইমারকে ডেকে ওঠায় ফিরে তাকান নেইমার।
Leo Perisić, Ivan’s son, running over to console Neymar Jr in tears. #Qatar2022
This video is simply great pic.twitter.com/xJeIn1Rxmv
— Fabrizio Romano (@FabrizioRomano) December 9, 2022
ক্রন্দনরত অবস্থাতেই বাচ্চাটিকে কাছে ডেকে নেন। বাচ্চাটিও নেইমারের কাছে গিয়ে তাকে যেন সান্তনা দেয়। কিছুক্ষণ সান্ত্বনা দেওয়ার পরে নেইমারের সাথে হাত মিলিয়ে আবার ক্রোয়েশিয়া শিবিরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বাচ্চাটি। ওই ছোট্ট বাচ্চাটি আসলে ছিলেন ক্রোয়েশিয়ার তারকা ফুটবলার পেরিসিচের সন্তান। ফুটবলের হিসেবে নেইমারকে তিনি নিজের আদর্শ মনে করেন। তাই ক্রোয়েশিয়ার অধিবাসী হয়েও নিজের আদর্শকে কাঁদতে দেখে আর থেমে থাকতে পারেনি সে। এই ভিডিওটি সকলের সামনে আসা মাত্রই তা ভাইরাল হয়েছে।