‘বাকিরা কী ঘাস কাটতে গিয়েছিল”, ২০১১-র বিশ্বকাপ জয় নিয়ে ধোনিকে তুলোধোনা হরভজনের

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ২০১১ সালের ৫০-ওভারের বিশ্বকাপ জয় গত এক দশকে ভারতের সবচেয়ে বড় কৃতিত্বগুলির মধ্যে একটি। ২৮ বছর পর এমএস ধোনির নেতৃত্বে ভারত দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্ব বিজেতা হয়েছিল। প্রাক্তন ভারত এবং পাঞ্জাবের অফ স্পিনার হরভজন সিং সেই দলের অন্যতম প্রধান সদস্য ছিলেন যারা মুম্বাইয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে পরাজিত করে বিশ্বকাপ জিতেছিল। হরভজন এবং তার প্রাক্তন অধিনায়ক ধোনির মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে যদিও মাঝেমধ্যেই প্রশ্ন ওঠে। এবার তাদের সম্পর্কের ফাটল আরও একবার প্রকাশ্যে এলো।

ধোনিকে প্রায়ই ফাইনালে ম্যাচ জেতানো ৯১ রানের ইনিংস খেলার জন্য অনেক বেশি কৃতিত্ব দেওয়া হয়। তার জীবন নিয়ে সিনেমাও তৈরি হয়েছে। একই খেলায়, গৌতম গম্ভীরও ৯৭ রানের দুর্দান্ত নক দিয়ে রান তাড়া করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। কিন্তু সচরাচর মিডিয়া তাকে অতটা কৃতিত্ব দেয়নি যতটা ধোনিকে দেওয়া হয়েছে।

হরভজন বিশ্বাস করেন যে ভারতের বিশ্বকাপ জয় শুধুমাত্র দলগত পারফরম্যান্সের কারণেই সম্ভব হয়েছে, কারোর একার ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে নয়। তিনি গত সপ্তাহান্তে দিল্লি ক্যাপিটালস এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের মধ্যে আইপিএল ২০২২-এর ম্যাচের বিশ্লেষণের সময় এটি বলেছিলেন। শো চলাকালীন উপস্থিত অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা ছিলেন তার প্রাক্তন সতীর্থ ইরফান পাঠান এবং মহম্মদ কাইফ।

হরভজন বলেছিলেন “অস্ট্রেলিয়া যখন বিশ্বকাপ জিতেছিল তখন সব মিডিয়া লিখেছিল ‘অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ জিতেছে’। কিন্তু ভারত বিশ্বকাপ জিতলে সবাই বলেছিল, ‘এমএস ধোনি বিশ্বকাপ জিতিয়েছে। তো বাকি কে ১০ জন কি ওখানে দাঁড়িয়ে লস্যি খাচ্ছিলেন? অন্য ১০ জন খেলোয়াড়ের কি কোনও অবদান নেই? গৌতম গম্ভীর কি কিছুই করেনি? অন্যরা কি করেছে? এটি একটি দলের খেলা। যখন ৭-৮ জন খেলোয়াড় ভাল খেলবে তখনই কেবল আপনার দল এগিয়ে যাবে”, ​​তিনি যোগ করেন।

Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর