বাংলা hunt ডেস্ক: অফিসে গিয়েই পর্ন ভিডিও চালিয়ে দেন। আর টানা ৯ ঘণ্টা ধরে চলে পর্ন দেখা। এটাই ওদের চাকরী। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ফেসবুক সম্প্রতি তাদের কনটেন্ট মডারেশনের নীতিমালা প্রকাশ করেছে। ওই নীতিমালার আওতায় ঠিক করা হয়, ফেসবুকে কোন কন্টেন্টগুলো থাকবে, কোনগুলো থাকবে না। এরপর থেকেই রিভিউয়ের কঠিন কাজগুলো যারা করেন, তাদের ভূমিকা প্রকাশিত হয়েছে।
সারাহ কাটজট় নামে ফেসবুকের প্রাক্ন এক কর্মী জানান, এটা করতে গিয়ে তাদেরকে প্রতিদিন এমন বাজে জিনিস দেখতে হতো যার বেশিরভাগই পর্নোগ্রাফি। ফলে তার ব্যক্তি জীবনে মারাত্মক প্রভাব পড়েছিল।
মূলত ফেসবুকের কিছু কর্মী এই কাজগুলো করেন যাতে বাজে জিনিসগুলো অন্যদের দেখতে না হয়। যখন কোনো ব্যবহারকারী আপত্তিকর কোনো বিষয়ে রিপোর্ট করেন, তখন তা চলে আসে জার্মানির বার্লিনে ফেসবুকের এক গোপন অফিসে।
তারপর সেই কনেন্টটি রিভিউ করেন এ অফিসটির কর্মীরা। প্রতিদিন এমন হাজার হাজার ছবি বা ভিডিও যাচাই করার অনুরোধ আসে। বার্লিনের ওই অফিসে এসব ভিডিও বা ছবি যাচাইয়ের কাজ করতেন সারাহ কাটজ।
ওই অফিসে কাজ করতেন এমন আরেকজন কর্মী বলেন, ‘আমাকে রোজ কাঁদতে হতো। ফেসবুকে বোধহয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ এটা – আর সবচেয়ে খারাপও, কিন্তু কারও যেন সেটা নিয়ে মাথাব্যথা নেই।’