বাংলাহান্ট ডেস্কঃ জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছাত্রীদের মৃত্যু ইতিমধ্যেই টনক নড়িয়েছে সরকারের। তারউপর নির্বাচনের সময় আসতে চলেছে বড় দুর্যোগ। একদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ এবং অন্যদিকে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত। সব মিলিয়ে এই পরিস্থিতিতে যাতে কোন এলাকায় জল না জমে, তা নিয়ে তৎপর নবান্ন (nabanna)।
গুলাবের প্রভাব সরাসরি বাংলার উপর না পড়লেও, ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বাংলার একাধিক এলাকায়। তারপর আবার ২৮ ও ২৯ শে সেপ্টেম্বর দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। আর তারপরই ৩০ শে সেপ্টেম্বর রয়েছে নির্বাচন। তাই নির্বাচনের পূর্বে বাংলার কোন প্রান্তে যাতে জল জমতে না পারে, সেবিষয়ে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক সারলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
শনিবার নবান্নে আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিইএসসি (CESC), ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের (WBSEB) সদস্যরা, দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাশাসক এবং মুখ্যসচিব নিজেও। নির্বাচনী এলাকায় জল যাতে জমতে না পারে সেবিষয়ে নজর দেওয়ার পাশাপাশি সব বিদ্যুতের খুঁটি যেন ঢাকা থাকে এবং ইলেকট্রিকের তার যেন খোলা না থাকে সেবিষয়েও কড়া ভাবে নজর দিতে বলা হয়েছে।
মুখ্যসচিব জানান, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর বেশ কয়েকটি দল ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় অর্থাৎ বিপদ সংকুল এলাকায় কড়া নজরদারী করতে বলা হয়েছে। পুলিশ, পূর্ত দফতর, দমকল দফতর সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে বলা হয়েছে এবং যাতে কোনরকম অঘটন ঘটলে সকলে একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে সেবিষয়ে নজর রাখতে বলা হয়েছে জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারদের।