বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তেলের দাম শূন্যের নীচে! এমন টাই হল মার্কিন মুলুকে৷ মে মাসে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল মজুত করার কোনও জায়গা থাকবে না এই আতঙ্কে তেলের দাম প্রতি ব্যারেল এক সেন্টে নেমে গেল। যার জেরে ইতিমধ্যেই বিপুল ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে আমেরিকা সহ বিশ্ব অর্থনীতিতে। সব মিলিয়ে ৩৭ বছরে সর্বনিম্ন অপরিশোধিত তেলের দাম। করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে না পারলে এই পতন কোথায় গিয়ে ঠেকবে কেউ বলতে পারছেন না।
ভারতীয় মুদ্রার হিসাবে এক লিটার অপরিশোধিত তেলের দাম এখন ৭ টাকা ১৩ পয়সা হয়ে গিয়েছে যা ১ লিটার জলের বোতলের দামের থেকেও কম৷ বর্তমানে এক ব্যারেল (১৫৯ লিটার) অপরিশোধিত তেলের দাম ১,১৪০ টাকা হয়ে গিয়েছে৷
পাশাপাশি ভারতেও, দেশব্যাপী তালাবদ্ধ হওয়ার কারণে জ্বালানী চাহিদা হ্রাস পেয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, সাধারন অবস্থায় ভারতে যে পরিমান তেল লাগত বর্তমান চাহিদা তার চেয়ে ৭০ শতাংশ কম। যার ফলে প্রতিদিন রক্ত ক্ষরণ হয়ে চলেছে তেল শিল্পের। গত বছরের তুলনায় এ বছর মার্চ মাসে চাহিদা কমেছে ৫০ শতাংশ। লকডাউন যত এগোবে এই ক্ষতির পরিমান আরো বাড়বে। যা আমাদের অর্থনৈতিক ভাবে দূর্বল করে দেবে।
দেশব্যাপী তেলের চাহিদা কমে যাওয়ার জেরে , শীর্ষস্থানীয় সংস্থাগুলি তাদের স্টোরেজ ট্যাঙ্কগুলি পুরোপুরি পূর্ণ। যার ফলে অপরিশোধিত তেলের শোধন কমাতে বাধ্য হয়েছে সংস্থা গুলি।
“ট্যাঙ্ক টপ-আপ পরিস্থিতি এড়াতে” ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন (আইওসি), ভারতের ভারতে অপরিশোধিত প্রক্রিয়াকরণ ৩০% থেকে কমিয়ে ৪০% করে ফেলেছে। পাশাপাশি দক্ষিণ ভারত ভিত্তিক ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারিস এবং পেট্রোকেমিক্যালস লিমিটেড ইতিমধ্যে তার ৩০০,০০০ বিপিডি পরিশোধন ক্ষমতার এক তৃতীয়াংশ বন্ধ করে দিয়েছে এবং চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় পরের সপ্তাহে বাকী অংশটি বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে একটি সংস্থা সূত্র জানিয়েছে।