বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাঁতরাগাছি ঝিল সংলগ্ন জমি সংক্রান্ত মামলা উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। সেই মামলাতেই বড় নির্দেশ দিল আদালত। সাঁতরাগাছি ঝিল সংলগ্ন জমি রেলকে দখল মুক্ত করতেই হবে। গত সোমবার জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ক্রমবর্ধমান দূষণ ও এভাবে বেআইনি দখলদারির কারণে ওই ঝিলে পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা বর্তমানে প্রায় নেই বললেই চলে। যার জেরে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের নির্দেশ যথেষ্টই তাৎপর্য বলে মনে করা হচ্ছে।
ঝিল সংলগ্ন এলাকা দখলমুক্ত করার নির্দেশ হাইকোর্টের-Calcutta High Court
সাঁতরাগাছি ঝিলের উত্তর দিকের জমি জবর দখল করে গড়ে উঠেছিল বেশ কয়েকটি দোকান। বেআইনিভাবে দখলদারদের উচ্ছেদ করতে নির্দেশ দিয়েছিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। সূত্রের খবর, সাঁতরাগাছির ওই জমি দখলদার মুক্ত হয়নি। বহুদিন হয়ে গেলেও এখনও গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ কার্যকর করতে পারেনি রেল কর্তৃপক্ষ। এদিকে সম্প্রতি পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ করেছিলেন ১১ জন বেআইনি দখলদার।
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলা শুনানির জন্য উঠেছিল। সেখানে দখলদারদের আইনজীবী জানান ট্রাইব্যুনাল নির্দেশে পুনর্বাসনের কথা উল্লেখ ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশের তোয়াক্কা না করেই রেল উচ্ছেদ করছে। এর পরই প্রমাণ হিসেবে মামলাকারীদের কাছে ট্রাইব্যুনালের ওই সংক্রান্ত নির্দেশের কপি দেখতে চান বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
যদিও নিজেদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনালের কোনও নির্দেশের কপি দেখাতে পারেননি মামলাকারীদের আইনজীবী। এরপরই বিচারপতি সিনহার নির্দেশ, সাঁতরাগাছি ঝিল সংলগ্ন ওই জমিতে দোকানগুলি রাখা চলবে না। পাশাপাশি ওই জমি রেলকেই দখল মুক্ত করতে হবে বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: এক ধাক্কায় নামবে তাপমাত্রা! আজ বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের কোথায় কোথায়? আবহাওয়ার খবর
মামলাকারীদের পুনর্বাসনের বিষয়টি নিয়ে ফের গ্রিন ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। জাস্টিস সিনহা জানিয়ে দেন এই বিষয়ে হাইকোর্ট (Calcutta High Court) নির্দেশ দেবে না। গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশই মেনে চলতে হবে।