পরিযায়ী শ্রমিকরাও পাবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা! ভোট শুরু হতেই বিরাট ঘোষণা মমতার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য জুড়ে লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) দামামা বেজে গিয়েছে। আজ থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ পর্ব। প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের তিন আসন কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে নির্বাচন হয়েছে। এবার বাকি আসনের পালা। একদিকে যখন উত্তরের তিন আসনে ভোট চলছে, অন্যদিকে তখন সভায় ব্যস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে জেলায় জেলায় ঘুরে সভা করছেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী। শুক্রবার এমনই একটি সভা থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য একটি বড় ঘোষণা মমতা। তিনি জানান, কাজের সুবাদে রাজ্যের বাইরে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকরাও এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের (Swasthya Sathi Card) সুবিধা পাবে।

এদিন সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Workers) জন্য একটা পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যে ২৮ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক আছেন বলে জানান মমতা। সেই পোর্টালে প্রত্যেকের নাম এবং ঠিকানা পাওয়া যাবে। দরকার হলে পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যাবে। কোনও বিপদে পড়লে সরকারকে জানানো যাবে, এমনকি যদি কেউ চলে আসতে চায়, তাহলে সেই ব্যবস্থাও করে দেওয়ার আশ্বাস দেন তৃণমূল নেত্রী। এরপরেই পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের তৈরির কথা ঘোষণা করেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রীকে * বললেন মমতা! ‘গালিগালাজে’র ভিডিও শেয়ার করে তুলোধনা অমিত মালব্যর

মমতা বলেন, ‘আমরা যেমন এখানকার সব পরিবারকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিই, ৫ লক্ষ টাকা। তেমনই যে সকল পরিযায়ী শ্রমিক বাংলার বাইরে কাজ করেন, তাঁদের জন্য আমরা আলাদা করে একটা স্বাস্থ্যসাথী আমরা তৈরি করে দিচ্ছি। যাতে বাইরে গিয়েও আপনারা সব সুযোগ পান’।

mamata banerjee swasthya sathi card benefits for migrant workers

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে একথা ঘোষণার পরেই ১০০ দিনের কাজ নিয়ে সরব হন মমতা। ফের একবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে টাকা না দেওয়ার কথা শোনা যায় তাঁর মুখে। মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘কাজ করিয়ে টাকা দেয়নি কে? বিজেপি আর মোদী। তাই শূন্য করে দিন ওদের গদি’। কেন্দ্র ১০০ দিনের টাকা না দিলেও রাজ্য সরকার সেই বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিয়েছে, একথা ফের একবার স্মরণ করিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর