দৈনিক খরচ করতে হবে ৬০ কোটি! কেন্দ্রের বরাদ্দের টাকা খরচা করতে হিমশিম খাচ্ছে নবান্ন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রের মোদী সরকারের (Central Government) বিরুদ্ধে সর্বদাই বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল সরকার (State Government)। কেন্দ্র টাকা আটকে রাখায় রাজ্যের ভাঁড়ার শুন্য, এ কথাও বহুবার বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বাংলার শাসকদলের অভিযোগ, অন্তত দু’টি প্রকল্পে কেন্দ্রের টাকা মিলছে না।

ওদিকে প্রশাসনের একটি সূত্র মারফত খবর, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বিপুল পরিমাণ অর্থ বহুদিন যাবৎ রাজ্যের কোষাগারে জমা পড়ে রয়েছে। যেই টাকা খরচ করতেই ঘাম ছুটছে রাজ্যের। টাকার পরিমাণ এতটাই যে ২১টি জেলায় (কলকাতা ব্যাতিত) সম্মিলিত ভাবে দিন প্রতি ৬০ কোটি টাকা করে খরচ করতে হবে বলে নবান্ন তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে ৬০ কোটি টাকা করে খরচ করা কী চারটে খানি কথা! বহু চিন্তা-ভাবনার পরও গত প্রায় তিন সপ্তাহে প্রতিদিন ৬০ কোটি টাকা করে খরচ করা সম্ভব হয়নি বলে খবর।

   

জানা যাচ্ছে কেন্দ্র থেকে পাঠানো সেই অব্যবহৃত টাকার পরিমাণ প্রায় ২২৮২ কোটি টাকা। বহু চেষ্টার পরও এই অর্থের সিংহভাগই এখনও পড়ে রয়েছে। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দের পূর্ণ ব্যবহার এখনও করা সম্ভব হয়নি। ওদিকে এসবের মধ্যেই পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের (Finance commission) ১৭০০ কোটি টাকা পেয়েছে রাজ্য (West Bengal)।

আরও পড়ুন: আবার প্রলয়! বিজেপি ছাড়ছেন না মমতার মুখে উপর না করা শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতা, নিউ টুইস্ট?

অর্থ কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, টায়েড (নির্দিষ্ট কাজে) এবং আন-টায়েড (নির্ধারিত কাজ ছাড়া) এই দুটি খাতে এই অর্থ ভাগ করে দেওয়া হয়। কমিশনের থেকে ২০২৩ সালের প্রথম বারের কিস্তি হিসেবে এই ১৭০০ কোটি টাকা পেল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যদিও এক বছরে ৬০ শতাংশ খরচের শর্ত রয়েছে কেন্দ্রের। এই শর্ত পূরণ করলে তবেই মিলবে পরের বরাদ্দ।

mamata nabanna wqd

সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের খরচ না হওয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় ২৪৭৪ কোটি টাকা। এই হিসেব দেখার পরই নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন। জোরকদমে অর্থ ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওদিকে লোকসভা ভোটের আগে এই বিপুল পরিমান অর্থ খরচ না করা গেলে বিজেপি রাজ্যের ‘বঞ্চনা’ ইস্যুতে লাগাম দেওয়ারও রাস্তা পেয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: কাল থেকে আরও বাড়বে বৃষ্টি! উত্তর-দক্ষিণবঙ্গের এই সব জেলায় জারি হলুদ, কমলা সতর্কতা

কেন্দ্রের এই বরাদ্দের ৬০ শতাংশ নির্ধারিত খাতে পানীয় জল, নিকাশী ব্যবস্থা, শৌচালয় ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া অনির্ধারিত খাতে এসব ছাড়া কিছু কাজে বাকি অর্থ ব্যবহার করা হবে। সেই খাতে খরচা করাটাই কঠিন বিষয়। এবার বুদ্ধি দিয়ে সময়ের মধ্যে পুরো বরাদ্দ রাজ্য খরচ করতে পারে কিনা সেটাই দেখার বিষয়।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর