এক কিস্তিতেই ১৭০০ কোটি! রাজ্যে এল পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বিপুল অর্থ, তবে রয়েছে শর্তও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত বহু পুরনো। আর মমতা-মোদীর আমলে তা চরমে পৌঁছেছে। বাংলা বঞ্চনার শিকার, কেন্দ্র থেকে মেলেনা আর্থিক সাহায্য। এই অভিযোগেই সর্বদা সরব তৃণমূল সরকার। তবে এসবের মধ্যেই পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের (Finance commission) ১৭০০ কোটি টাকা পেল রাজ্য (West Bengal)।

অর্থ কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, টায়েড (নির্দিষ্ট কাজে) এবং আন-টায়েড (নির্ধারিত কাজ ছাড়া) এই দুটি খাতে এই অর্থ ভাগ করে দেওয়া হয়। কমিশনের থেকে ২০২৩ সালের প্রথম বারের কিস্তি হিসেবে এই ১৭০০ কোটি টাকা পেল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যদিও এক বছরে ৬০ শতাংশ খরচের শর্ত রয়েছে কেন্দ্রের। এই শর্ত পূরণ করলেই মিলবে পরের বরাদ্দ।

রাজ্যের জন্য আরও প্রথম কিস্তিতে টাকা পাঠানো হল দিল্লি থেকে। সাধারণত ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের মধ্যে ওই অর্থ দুই ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়ে থাকে। জানা যাচ্ছে পঞ্চায়েতগুলি সম্মিলিত ভাবে টায়েড খাতে প্রায় ৬৯২.৬৬ কোটি টাকা পাচ্ছে। আর আনটায়েড অর্থাৎ নির্ধারিত নয় এমন কাজের খাতে প্রায় ৪৪৮.৩৬ কোটি টাকা পাচ্ছে।

আরও পড়ুন: বান্ধবী বুলা-কে ১২ লাখের গাড়ি উপহার! কে এই মহিলা? বীরভূমের কনস্টেবল কাণ্ডে নয়া মোড়

ওদিকে পঞ্চায়েত সমিতিগুলি নির্ধারিত কাজের জন্য টায়েড খাতে পাচ্ছে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা এবং আনটায়েড খাতে পাচ্ছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। প্রতিটি জেলা পরিষদ সম্মিলিত ভাবে টায়েড খাতে পাচ্ছে প্রায় ১৫৩ কোটি এবং আনটায়েড খাতে পাচ্ছে প্রায় ১০২ কোটি।

nabanna

আরও পড়ুন: মাস গেলেই হাতে পান কড়কড়ে ১০০০! মমতা সরকারের ‘দুর্দান্ত’ প্রকল্পে আজই করুন আবেদন

এই বরাদ্দের ৬০ শতাংশ নির্ধারিত খাতে পানীয় জল, নিকাশী ব্যবস্থা, শৌচালয় ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া অনির্ধারিত খাতে এসব ছাড়া কিছু কাজে বাকি অর্থ ব্যবহার করা হবে। যদিও সূত্রের খবর পূর্বে অর্থ কমিশন তরফে পাওয়া বরাদ্দের অনেকটা অংশ এখনও ব্যবহার করা হয়নি।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর