বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রতিশ্রুতি মতোই এবার বাংলার আবাস যোজনা (Awas Yojana) প্রকল্পে বরাদ্দ প্রথম কিস্তির টাকা পাঠিয়ে দিল রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারি এই প্রকল্পে দু’বছর ধরে টাকা দেওয়া বন্ধ থাকার পর অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্যোগে আবার শুরু হয়েছে বরাদ্দ টাকা বিতরণ। মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলার আবাস যোজনা প্রকল্পে বরাদ্দ টাকা বিতরণ কর্মসূচি শুরু করার কথা ছিল।
আবাস প্রকল্পে (Awas Yojana) ‘ইউনিক আইডি’ বাদ
যদিও তার আগেই সোমবার থেকেই প্রত্যেক জেলার প্রশাসনকে বরাদ্দ টাকা দিয়ে দিয়েছে নবান্ন (Nabanna)। প্রশাসনিক সূত্রে খবর জেলা ভিত্তিক উপভোক্তাদের হিসেব কষে এক একটি জেলায় কয়েক কোটি টাকা করে পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর আবাসের (Awas Yojana) এই তালিকায় সবমিলিয়ে মোট ১১ লক্ষ উপোক্তা রয়েছেন।
তাছাড়াও অতিরিক্ত আরও এক লক্ষ উপভোক্তাকে এই সরকারি প্রকল্পে একই পরিমাণ টাকা দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। মূলত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে যাদের বাড়ি ভেঙেছে, এই প্রকল্পে (Awas Yojana) এবার তারাও টাকা পাচ্ছেন। প্রথম কিস্তিতে মাথাপিছু প্রত্যেক আবেদনকারী ৬০ হাজার টাকা করে পাচ্ছেন। জানা যাচ্ছে সব মিলিয়ে প্রথম কিস্তির জন্য এই প্রকল্পে গোটা রাজ্যের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে মোট প্রায় ৭২০০ কোটি টাকা
দুর্নীতি রুখতেই আবাস প্রকল্পের টাকা দেওয়ার জন্য শুরুতে প্রত্যেক উপভোক্তাদের জন্য একটি করে ইউনিক আইডি দেওয়ার কথা ছিল। সরকারের তরফে এই ইউনিক আইডির ওপর নির্ভর করে টাকা দেওয়া হবে বলেই জানানো হয়েছিল। তবে এবার সরকারি সূত্রে খবর প্রযুক্তিগত জটিলতার কারণেই সেই পথে হাঁটছে না নবান্ন।
বরং চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া উপভোক্তাদের একটি ‘মাস্টার রোল’ তৈরি করে ট্রেজারির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ সরকারি টাকা পাঠানো হবে বলেই জানা যাচ্ছে। আর এই গোটা প্রক্রিয়াটির ওপর নজর রাখবেন জেলাশাসকরা।
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই বন্ধ পানীয় জল সরবরাহ! কতদিন? সমস্যায় পড়ার আগেই জানুন
এক কর্তার কথায়, ‘উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানো নিয়ে ইতিমধ্যেই অর্থ দফতর বেশ কিছু বিধির কথা জানিয়েছে। যাতে এর মাধ্যমে একমাত্র প্রকৃত উপভোক্তারাই টাকা পাবেন। একজনের টাকা অন্য কারও অ্যাকাউন্টে যাতে না যায় তা আটকাতেই এই বিধি চালু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রত্যেক উপভোক্তার অ্যাকাউন্ট যাচাই-ও করা হয়েছে।’
অন্যদিকে, মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতির বৈঠক ডেকেছেন। সেই বৈঠক থেকেই আবাসের টাকা বিতরণ কর্মসূচির সূচনা করবেন তিনি। সূত্রের দাবি,প্রতিটি জেলা থেকে কয়েক জন করে উপভোক্তাদের হাতে প্রতীকী শংসাপত্র তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা যাচ্ছে দ্বিতীয় কিস্তিতেও প্রত্যেক উপভোক্তাকে ৬০ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে মাথা পিছু প্রত্যেকউপভোক্তা বাড়ি তৈরির জন্য মোট এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা পাবেন। তবে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, দুর্গম এলাকার উপভোক্তারা এক্ষেত্রে এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকা করে পাবেন।