বাংলা হান্ট ডেস্ক : নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) ঘটনায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি। টাকার বদলে অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত রাজ্যের হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীরা। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে পার্থ সহ একাধিক মন্ত্রী। এসবের মাঝেই আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বড়সড় কটাক্ষ করে বসলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী (Siddiqullah Chowdhury)। সেই মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
গত বৃহস্পতিবার একটি বইমেলার অনুষ্ঠানে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীকে পেয়ে সাংবাদিকরা ছেঁকে ধরে। চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্ন করা হয় তাকে। সেখানেই সিদ্দিকুল্লাহর বেফাঁস মন্তব্য, ‘সবাইকে চাকরি করতে হবে তার মানে আছে? সবাই যদি চাকরি করে, তো ক্ষেতমজুরি করবে কে, অন্য বিষয়বস্তু কে করবে? রাজ্য সরকার গভীরভাবে ভাবে। আমাদের সরকার যত চাকরি দিয়েছে…, মানুষকে প্রতারিত করেনি। বাম জমানায় প্রতারিত হয়েছে।’
এখানেই শেষ নয়, সিদ্দিকুল্লাহ আরও বলে বসেন, ‘আমরা প্রকৃতপক্ষে চাকরি দিচ্ছি, এখন লোভ হয়েছে, সবাই পাচ্ছে, আমরাও পাব, তো লাইনে দাঁড়ান, তবে তো টিকিটা পাবেন। লাইনে বা দাঁড়ালে টিকিট পাওয়া যায়?’ মন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর চাকরিপ্রার্থীরা তো বটেই সেই সাথে গর্জে উঠেছে সাধারণ মানুষরাও। আসন্ন নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের এইসব বেফাঁস মন্তব্য তীরে এসে তরী ডোবানোর কাজ করবে বলে আশঙ্কা রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন : পাকিস্তানে নিহত আরও এক জঙ্গী নেতা! নয়াদিল্লির শত্রুদের নিশানা করছে কারা? বড় খবর দিল UN
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও এরকমই একটা মন্তব্য করেছিলেন। সেবার তিনি বলে বসেন, ‘আন্দোলন করলেই কি সবাইকে চাকরি দিতে হবে? সেটা সম্ভব নয়। চাকরির সঙ্গে আন্দোলনের কোনও সম্পর্ক নেই। চাকরি হয় যোগ্যতা এবং মেধার ভিত্তিতে, আন্দোলন মামলা দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যাহত হলে তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’ সেবারও ব্রাত্য বসুর এই মন্তব্যকে ঘিরে বহু জলঘোলা হয়েছিল।
যেখানে দুর্নীতির তল খুঁজতে গিয়ে রাজ্যের নেতা মন্ত্রীদের একটা বড় অংশ ইডির ঘেরাটোপে, যেখানে রাজ্যের যুবসমাজ তাদের হকের চাকরির দাবিতে দিনের পর দিন রাস্তায় পড়ে আছে, সেখানে শাসকদলের মন্ত্রীরা এরকম মন্তব্য কিভাবে করেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন আম জনতা। ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার হয়েছেন মানিক ভট্টাচার্যও।