বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মাধ্যমিক পরীক্ষার (Madhyamik Exam) আগে প্রত্যেক বছরই একাধিক উদ্যোগ নেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (WBBSE)। ছাত্রছাত্রীদের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার আয়োজনে যাতে কোনও রকম ত্রুটি না থাকে, সেটা সুনিশ্চিত করতে চায় তারা। সেই কারণে নেওয়া হয় একাধিক সিদ্ধান্ত। চলতি বছরও এর অন্যথা হয়নি। এবার যেমন অ্যাডমিট কার্ড দেওয়ার পর পড়ুয়াদের শপথবাক্য পাঠ করাবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পর্ষদের তরফ থেকে এমনই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
মাধ্যমিক পরীক্ষার (Madhyamik Exam) আগে নয়া নির্দেশ জারি পর্ষদের!
২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হতে আর মাত্র হাতেগোনা কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। এই মুহূর্তে প্রায় সকল পরীক্ষার্থীই জোরকদমে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই আবহে জানা গেল, পর্ষদের নয়া উদ্যোগের কথা। এবার ছাত্রছাত্রীদের হাতে মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড তুলে দিয়ে তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করাবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষার্থীদের একসঙ্গে তাঁদের কী করণীয় এবং তাঁরা কী করতে পারবে না সেটা জানাতে হবে।
এতদিন অবধি টেস্ট পেপার অথবা ডিজিটাল মাধ্যমে এই প্রচার করা হতো। তবে ২০২৫ সালের মাধ্যমিকের (Madhyamik Exam) আগে নয়া সিদ্ধান্ত নিল পর্ষদ। রিপোর্ট বলছে, এবারের পরীক্ষার আগে সকল পরীক্ষার্থীকে অঙ্গীকারবদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই নির্দেশ জারি করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
আরও পড়ুনঃ ‘খালি মার্কেটিং, পরিকল্পনা নেই’! মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু! যোগী সরকারকে তুলোধোনা অভিষেকের
ছাত্রছাত্রীদের সেই শপথবাক্যে কী বলা হয়েছে, সেই তথ্যও তুলে ধরেছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষার্থীদের শপথবাক্যে বলা হয়েছে, ‘পরীক্ষাকক্ষে আমি মাধ্যমিকের আসল অ্যাডমিট এবং রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে যাব। অ্যাটেনডেন্স শিটে সই করার সময় আমি প্রশ্নপত্রের ক্রমিক সংখ্যা লিখব। পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতর আমি অভিভাবককে নিয়ে যাব না। পরীক্ষাকেন্দ্রে আমি মোবাইল ফোন নিয়ে যাব না। পরীক্ষাকেন্দ্রে আমি কোনোপ্রকার ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র নিয়ে যাব না’।
এছারাও ওই শপথবাক্যে আরও লেখা রয়েছে, ‘আমি পুরো সময় শেষ হওয়ার আগে প্রশ্নপত্র নিয়ে পরীক্ষাকক্ষ থেকে বের হবো না এবং আমি কোনও পরীক্ষায় ভালো নম্বর অর্জনের জন্য কোনও অন্যায় উপায় অবলম্বন করব না’।
জানা যাচ্ছে, আসন্ন মাধ্যমিকের (Madhyamik Exam) সকল পরীক্ষার্থীকে এই শপথবাক্য পাঠ করাবেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই বিষয়ে পর্ষদের তরফ থেকে একজন আধিকারিক বলেন, ‘এগুলো আমরা বিদ্যালয়গুলিকে পাঠিয়েছি। বিদ্যালয়গুলি কীভাবে পরীক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরবে সেটা স্কুল কর্তৃপক্ষই সিদ্ধান্ত নেবে’।