বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত এপ্রিল মাসে ২০১৬ সালের এসএসসির (SSC Recruitment Scam) সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে চাকরি হারিয়েছেন ২৫,৭৫২ জন শিক্ষক (School Teacher) ও শিক্ষাকর্মী। এর প্রভাব পড়েছে রাজ্যের বহু বিদ্যালয়ে। কোথাও পর্যাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা নেই, কোথাও আবার শিক্ষাকর্মীদের অভাব। এই পরিস্থিতিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে (WBBSE) দেওয়া হল একটি চিঠি। প্রধানশিক্ষক সংগঠনের তরফ থেকে সেই চিঠি দেওয়া হয়েছে।
পর্ষদকে (WBBSE) দেওয়া চিঠিতে কী লেখা হয়েছে?
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি অবধি পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের প্রশ্ন বানানোর জন্য রাজ্যের বিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশ দিয়েছে পর্ষদ। সেখানে বলা হয়েছে, আগের মতো বাইরের সংস্থা থেকে প্রশ্নপত্র নেওয়ার দিন শেষ! এবার থেকে বিদ্যালয়গুলিকেই নিজেদের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করতে হবে। পর্ষদের এই নির্দেশের পাল্টা চিঠি দিয়েছে প্রধানশিক্ষক সংগঠন।
অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেসের রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি এই বিষয়ে বলেন, ‘যে শিক্ষক, শিক্ষিকারা পড়াবেন, তাঁদের শূন্যপদ তো প্রচুর। যতক্ষণ না এই শূন্যপদে নিয়োগ হচ্ছে, ততক্ষণ কে প্রশ্নপত্র বানাবে? সেই জন্য পর্ষদ প্রশ্নপত্র তৈরি করুক ও বিদ্যালয়গুলিকে বিনামূল্যে বিতরণ করুক’।
আরও পড়ুনঃ গ্রামদখল ঘিরে উত্তেজনা! লাভপুরে প্রাণঘাতী বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু তৃণমূল নেতার ছেলের
এরপর খরচ নিয়েও মুখ খোলেন চন্দন। তাঁর কথায়, ‘স্কুলের প্রয়োজনীয় চক, ডাস্টার, বিদ্যুতের বিল, রক্ষণাবেক্ষণ সহ সব মিলিয়ে বড় বিদ্যালয়গুলিকে আগে বার্ষিক ১ লাখ ও ছোট বিদ্যালয়গুলিকে ১০,০০০ টাকা করে দিত পর্ষদ। এখন সেটা কমিয়ে চার ভাগের এক ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের থেকে বছরে সর্বাধিক ২৪০ টাকা অবধি নেওয়ার নিয়ম আছে। এখান থেকে যে অর্থ আসে, বছরে তার থেকে অনেক বেশি টাকা বিদ্যুতের বিল মেটাতে চলে যায়। এখন আবার পর্ষদ প্রশ্নপত্র বানাতে বলছে। সেই খরচ কোথা থেকে আসবে?’
এখানেই শেষ নয়! শিক্ষক সংগঠনের আরও দাবি, রিভিউ, স্ক্রুটিনি ফি সহ সবকিছুর খরচ আড়াই গুণ বৃদ্ধি করেছে পর্ষদ। তবে বিদ্যালয়গুলির (School) ক্ষেত্রে কোনও অর্থনৈতিক সাহায্য থেকে বঞ্চিত। এমনটা সহ্য করা হবে না। পর্ষদ পাল্টা চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেসের রাজ্য সম্পাদক।
উল্লেখ্য, বর্তমানে পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক, শিক্ষিকার অভাবে ধুঁকছে বাংলার বহু স্কুল। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়গুলিকে নিজেদের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরির নির্দেশ দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (WBBSE)। পাল্টা প্রধানশিক্ষক সংগঠনের তরফ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এরপর এই বিষয়টি কোন দিকে গড়ায় সেটাই দেখার।