বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উচ্চমাধ্যমিকে (Higher Secondary) বার্ষিক একটি পরীক্ষার বদলে শুরু হচ্ছে সেমিস্টার পদ্ধতি। এবার যে পড়ুয়ারা দ্বাদশ শ্রেণিতে উঠবেন তাঁরাই প্রথম সেমিস্টার পদ্ধতিতে উচ্চমাধ্যমিক দেবেন। এই আবহে নয়া নির্দেশিকা জারি করল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (WBCHSE)। জানানো হয়েছে, একাদশ শ্রেণিতে পাশ না করেই দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু করতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা। তবে সেক্ষেত্রে রয়েছে একটি ‘শর্ত’।
উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary) স্তরের পড়ুয়াদের জন্য বড় খবর!
বৃহস্পতিবার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সেমিস্টার পদ্ধতিতে (Semester System) হাতে সময় কম থাকে। সেই কারণে আগামী এপ্রিল মাসের পয়লা সপ্তাহ থেকে তৃতীয় সেমিস্টারের (দ্বাদশ শ্রেণি) ক্লাস শুরু করে দিতে হবে। প্রাথমিকভাবে একাদশ শ্রেণির প্রত্যেক পড়ুয়া এই ক্লাস করবেন।
তবে একাদশের ফল প্রকাশের পর যদি দেখা যায় কোনও শিক্ষার্থী অনুত্তীর্ণ হয়েছেন, তাহলে তিনি আর ক্লাস করতে পারবেন না (Higher Secondary)। সেক্ষেত্রে তাঁকে ফের প্রথম ও দ্বিতীয় সেমিস্টারে বসতে হবে। অর্থাৎ সেই ছাত্রকে ফের একাদশ শ্রেণির পড়াশোনা করতে হবে। এদিকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে এই নির্দেশিকা জারি হতেই দেখা দিয়েছে বিতর্ক।
আরও পড়ুনঃ টোটো নিয়ে কড়াকড়ি! এবার একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী
সংসদের এহেন সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষক মহলের একাংশ প্রশ্ন তুলেছে। তাঁদের দাবি, পড়ুয়াদের মনে এই সিদ্ধান্তের বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী এই বিষয়ে বলেন, ‘একাদশ শ্রেণির ফল প্রকাশের আগেই এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে তৃতীয় সেমিস্টারের জন্য ক্লাস শুরুর নোটিশ দিল সংসদ। এরপর যদি দেখা যায় কেউ অনুত্তীর্ণ হয়েছেন, তাহলে তাঁদের ফের একাদশ শ্রেণিতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে’।
কিংকর অধিকারীর দাবি, অনুত্তীর্ণ পড়ুয়াদের ফের একাদশ শ্রেণিতে ফেরানোর সিদ্ধান্ত মনোবিজ্ঞানসম্মত নয়। এর ফলে শিক্ষার্থীদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা দাবি জানাচ্ছি, ফল প্রকাশের পর এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ক্লাস শুরু করা হোক। কারণ তার আগে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা রয়েছে। খাতা দেখতে সময় লাগবে। দ্রুত ফল প্রকাশের পর ক্লাস শুরু হওয়া উচিত’।
এখানেই না থেমে শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, এখনও অবধি সংসদের বই (Higher Secondary) স্কুলগুলিতে এসে পৌঁছয়নি। ‘শিক্ষকরা সেই বইগুলো কবে হাতে পাবেন ও সেগুলো পড়ে তাঁদের নিজেদের তো তৈরি হতে হবে’, বলেন কিংকর অধিকারী।