বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সামনেই রয়েছে উচ্চ-মাধ্যমিক (Higher Secondary) পরীক্ষা। হাতে আর মাত্র এক মাস সময়। আগামী ৩ মার্চ থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে যাচ্ছে উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং শেষ হচ্ছে ১৮ মার্চ। নির্ধারিত দিনে সকাল দশটা থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর শেষ হবে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা স্বচ্ছ ভাবে পরিচালনা করার জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এবার জানা যাচ্ছে উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় টোকাটুকি কিংবা পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে ধরা পড়লে, ওই বছরের জন্য ওই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হবে।
উচ্চ-মাধ্যমিক (Higher Secondary) শুরুর আগেই বিরাট নির্দেশ সংসদের
উচ্চ-মাধ্যমিক (Higher Secondary) পরীক্ষা পরিচালনার জন্য আরও কিছু কড়া নির্দেশ দিয়েছে সংসদ। পরীক্ষা চলাকালীন কড়া নজরদারি রাখতে পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রত্যেকটি ঘরে দুজন করে পর্যবেক্ষক রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ঘরে ২৫ জন পরীক্ষার্থী পিছু একজন করে পর্যবেক্ষক রাখতে বলা হয়েছে। কোন ঘরে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ জনের বেশি হলে তিনজন পর্যবেক্ষণ রাখতে হবে। যদিও শিক্ষক সংগঠনের বক্তব্য, উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে এত শিক্ষক নেই। তাই এই নিয়ম কার্যকর করতে হলে সরকারের উচিত আরও শিক্ষক নিয়োগ করা।
সংসদের তরফে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, এই বছর থেকে ছোট ছোট প্যাকেটে স্কুলগুলোতে প্রশ্নপত্র পাঠাবে সংসদ। তবে এবার থেকে প্রধান শিক্ষক কিংবা ভেনু সুপার-ভাইজারের ঘরে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলা হবে না। সরাসরি পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীদের সামনে প্রশ্নপত্র খুলতে হবে।
পরীক্ষার (Higher Secondary) দিন পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবেন ভেনু সুপারভাইজার। সকাল ৭:৪৫ মিনিটে তাঁদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে হবে। পর্যবেক্ষকদের সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে হবে। আগে থেকেই তাঁদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হবে। পর্ষদের তরফে নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে নির্দিষ্ট ক্যালকুলেটর ছাড়া মোবাইল বা অন্য কোন বৈদ্যুতিন যন্ত্র নিয়ে পরীক্ষা হলে প্রবেশ করা যাবে না। কেউ মোবাইল নিয়ে বা টোকাটুকি করতে গিয়ে ধরা পড়লে, সেই বছরের মতো তার পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের অভিযোগ সরিয়ে মমতা সরকারের বড় পদক্ষেপ! BSF-কে ০.৯ একর জমি দিচ্ছে রাজ্য
প্রসঙ্গত সিবিএসই ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জানিয়ে দিয়েছে কোনো পরীক্ষার্থী মোবাইল নিয়ে ধরা পড়লে সেই বছর এবং তার পরের বছর পরীক্ষা (Higher Secondary) দিতে পারবে না। এ বার সংসদও কড়া পদক্ষেপ নিল। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে প্রত্যেক পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পৌঁছানোর আগেই পুলিশ কর্মীদের পৌঁছাতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে কোন অবাঞ্ছিত ব্যক্তি প্রবেশ করতে পারবেন না। কাছাকাছি কোন ফটোকপির দোকান খোলা রাখা যাবে না, মাইক বাজানোও বন্ধ রাখতে হবে।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মন্ডল জানিয়েছেন পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ প্রতিবারই নতুন কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এবছরও তাই করা হয়েছে। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে রাজ্যে উচ্চ-মাধ্যমিক স্তরে কোন শিক্ষক নিয়োগ নেই। তাই এত পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে হলে অন্য স্কুল থেকে শিক্ষক আনাতে হবে। তাই তিনি জানিয়েছেন সরকারের উচিত উচ্চ-মাধ্যমিক স্তরে আরও বেশি শিক্ষক নিয়োগ করা।