বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সেমিস্টার পদ্ধতি শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা দিয়েছেন একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা। এবার দ্বিতীয় সেমিস্টারের পালা। পুজোর ছুটি কাটিয়ে স্কুল খুলতেই শুরু হয়ে গিয়েছে পরীক্ষার প্রস্তুতি। কিন্তু এর মাঝেই নম্বর বিভাজন নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের (WBCHSE) তরফ থেকে স্পষ্ট নির্দেশিকা না থাকায় চাপে পড়েছেন ছাত্রছাত্রীরা।
নম্বর বিভাজন নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা দেয়নি সংসদ (WBCHSE)!
শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীরা জানাচ্ছেন, কিছু বিষয়ের নম্বর বিভাজন (Marks Division) নিয়ে সংসদের তরফ থেকে স্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। যে কারণে প্রস্তুতি নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন অনেকে। এই বিষয়ে সংসদের তরফ থেকে যদি দ্রুত নির্দেশিকা না দেওয়া হয়, তাহলে সমস্যার সমাধান হবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
একাদশ শ্রেণির (Class XI) প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা মাল্টিপল চয়েজ প্রশ্ন তথা এমসিকিউ-এর ওপর ভিত্তি করে হয়েছে। দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা ছোট প্রশ্নের উত্তর তথা এসএকিউ এবং বড় প্রশ্নের উত্তর তথা এলএকিউ-এর ওপর ভিত্তি করে হবে। এই বিষয়ে বাংলার শিক্ষকরা বলছেন, গল্প, নাটক, কবিতা, পূর্ণাঙ্গ সহায়ক গ্রন্থ, প্রবন্ধ, বাংলা শিল্প, সাহিত্য এবং সংস্কৃতির ইতিহাসে মোট নম্বর দেওয়া থাকলেও, সেখান থেকে কত নম্বরের এসএকিউ এবং কত নম্বরের এলএকিউ আসবে সেটা বলা নেই।
আরও পড়ুনঃ জেলবন্দি অবস্থাতেই জোর ঝটকা! আরজি কর কাণ্ডে CBI যা পদক্ষেপ নিতে চলেছে … ঘুম উড়ল সন্দীপের!
শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, বাংলার মতো ইংরেজির ক্ষেত্রেও নম্বর বিভাজন নিয়ে একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের (WBCHSE) পাঠ্যবইয়ে নম্বর বিভাজন না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন অনেকে। এদিকে বাজারে থাকা কিছু সহায়ক বইয়ে নম্বরের বিভাজন দেওয়া থাকলেও, সেটা আদৌ সঠিক কিনা তা নিয়ে ধন্দে পড়েছেন শিক্ষকরা।
কারণ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের (WBCHSE) তরফ থেকে ওই নম্বর বিভাজনের বিষয়ে কোনও আলোকপাত করা হয়নি। একাদশ শ্রেণির কিছু কিছু বিষয়ে নম্বর বিভাজন না থাকার এই সমস্যার কথা কানে এসেছে সংসদেরও। এই বিষয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘পাঠ্য বইগুলি খতিয়ে দেখে আমরা প্রয়োজনে যথাযথ ব্যবস্থা নেব’।