বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনে দুরন্ত ফলাফলের পর কার্যত ত্রিপুরা এবং অসমকে টার্গেট করেছে তৃণমূল। সেই সুত্র ধরে আগামী নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে ত্রিপুরায় যাতায়াতও অনেকটাই বেড়েছে তৃণমূল নেতাদের। এই প্রচারে গিয়েই আক্রান্ত হন তৃণমূলের দুই যুব নেতানেত্রী সুদীপ রাহা ও জয়া দত্ত। এই মুহূর্তে এসএসকেএম-এ ভর্তি রয়েছেন তারা। আজ তাদেরই দেখতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
সেখান থেকে বেরিয়ে এলেন সরাসরি ত্রিপুরার বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান তিনি। অভিষেক ব্যানার্জি, দোলা সেন, কুনাল ঘোষ, ব্রাত্য বসুদের নামের ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় এফআইআর দায়ের করেছে বিপ্লব দেব সরকার। সেই সূত্র ধরেই তৃণমূল সুপ্রিমো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ত্রিপুরায় আমাদের সবার নামে এফআইআর করেছে। কি করবে? ওখানে নামলেই অ্যারেস্ট করবে? মনে রাখবেন এখানেও কিন্তু আমাদের হাতে আইন আছে। আমরা তা প্রয়োগ করতে চাইনা।”
তার এই মন্তব্যের পর অনেকেই বলছেন তৃণমূল সুপ্রিমো কার্যত বুঝিয়ে দিলেন, ত্রিপুরায় বিজেপি তৃণমূলের উপর অত্যাচার চালালে পাল্টা সহ্য করতে হতে পারে বাংলার বিজেপিকেও। এদিন এসএসকেএম-এও তার সঙ্গে ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। কার্যত ত্রিপুরাতে সরাসরি বিপ্লব দেব সরকারের পতনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। পরিষ্কার জানিয়েছিলেন যে অরাজগতা চলছে তাতে দেড় বছরের মধ্যে ত্রিপুরায় ক্ষমতা দখল করবে তৃণমূল।
এবার কার্যত একি সুর শোনা গেল মমতার গলাতেও। তিনি পরিষ্কার জানালেন, টোটাল অরাজকতা চলছে ত্রিপুরায়, চলছে জঙ্গল রাজ। রাস্তায় রাস্তায় ক্রিমিনাল ঘুরে বেড়াচ্ছে, আর এফআইআর করা হচ্ছে তৃণমূল কর্মীদের উপর। তার এই মন্তব্যের পর এখন আগামী দিনে ঘটনার জল কোন দিকে গড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।