বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তাইওয়ান নিউজ (Taiwan News) এর ওয়েবসাইটে একটি অভূতপূর্ব ছবি প্রকাশিত হয়েছে, যেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল (Viral) হচ্ছে। তাইওয়ান নিউজে প্রকাশিত ওই পোস্টারে ভগবান রাম ড্রাগনকে বধ করছে দেখা যাচ্ছে। ওই ছবি অশুভের বিরুদ্ধে শুভর জয়ের প্রতিক হিসেবে দেখানো হচ্ছে ওই ছবিকে। চীনের ডাক নাম ড্রাগন এটা সবাই জানে। আর ১৫ তারিখে লাদাখ সীমান্তে হওয়া ভারত চীন উত্তেজনার পর তাইওয়ান এই ছবি প্রকাশ করেছে। তাইওয়ানের মতে অশুভ চীনের বিরুদ্ধে বড় জয় পেয়েছে ভারত। আর সেই জন্য তাঁরা এই ছবি তাদের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করেছে।
তাইওয়ান চীনের প্রতিবেশী দেশ হলেও, চীন তাদের দেশ মানতে নারাজ। চীনের মতে তাইওয়ান চীনেরই অংশ। যদিও এটা নতুন কিছু না। এর আগে তিব্বত, আকসাই চীন নিয়েও এরকম দাবি করত ড্রাগন আর এরপর তাঁরা ধীরে ধীরে সেই অঞ্চল গুলো দখল করে নেয়। যদিও তাইওয়ান দখল করা চীনের পক্ষে যতটা সহজ ভাবা হচ্ছে, ততটা সহজও না। কারণ তাইওয়ান চীনকে সহজেই ছেড়ে দেবে না। ঠিক বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী-এর মতো। আর চীনকে শিক্ষা দিতে তাইওয়ান যেমন ধীরে ধীরে শক্তিশালী হচ্ছে, তেমনই তাঁরা চীনের বিরোধী দেশ গুলোর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করারও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আর সেই ক্রমেই লাদাখে চীনকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য ভারতের প্রশংসা করে এহেন পোস্টার ছাপিয়েছে তাইওয়ান। যদিও এই ছবি তাদের নিজের বানানো না, তবুও ওদের এই কাজের প্রশংসা গোটা ভারত জুড়ে হচ্ছে। কিছুদিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠনের সভায় তাইওয়ানকে যুক্ত করার জন্য তদারকি করেছিল ভারত। এরপর ভারতের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছিল চীন। এছাড়াও জানা গিয়েছে যে, তাইওয়ান এখন ভারতের থেকে স্বদেশী প্রযুক্তিতে বানানো মিসাইল, কামান কেনারও উদ্যোগী হয়েছে।
Photo of the Day: India's Rama takes on Chinese Dragon. Great art Taiwan
’We are Taiwanese not Chinese’ every time I go to 🇹🇼 I hear this:)
Eunuchs at #CCP couldn't even touch them for decades. 🇮🇳 is way beyond #CCP#JaiShriRam #WeStandWithINDIANArmy https://t.co/mYdFAEuj3w pic.twitter.com/mzcGeQIRWQ
— Arun Pudur (@arunpudur) June 17, 2020
১৯৪৯ সালে মাও জেদং এর নেতৃত্বে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি চিয়াং কাই-শেক এর নেতৃত্বাধীন কুওমিঙটাং সরকারের সিংহাসন উপড়ে ফেলেছিল। এরপর চিয়াং কাই-শেক তাইওয়ান দ্বীপে গিয়ে নিজের সরকার গঠন করেছিল সেই সময় কমিউনিস্ট পার্টির কাছে শক্তিশালী নৌসেনা ছিল না। এরজন্য তাঁরা সমুদ্র পার করে ওই দ্বীপে নিজেদের অধিকার জমাতে পারেনি। তখন থেকে তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন বলে মানে। কিন্তু চীন আগাগোড়াই ওই দ্বীপকে নিজেদের অভিন্ন অংশ বলে দাবি জানিয়ে এসেছে।