CAA নিয়ে দেশের কট্টরপন্থীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশের নানা প্রান্তে উৎপাত শুরু করেছে কট্টরপন্থীরা। পশ্চিবঙ্গে লুঙ্গি বাহিনীর উপদ্রবে মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। যে পুলিশ পুজোতে বাজি ফাটানোর অপরাধে নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার করতে চলে যায়, সেই পুলিশ লুঙ্গি বাহিনীর কাছে হাঁটু গেড়ে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ উলুবেড়িয়ায় লুঙ্গি বাহিনীকে গ্রেফতার করতে গিয়ে উল্টে আক্রমনের শিকার হয়েছে। অন্যদিকে দিল্লী ও উত্তর প্রদেশে অন্য ছবি দেখা যাচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের পুলিশ উপদ্রবকারীদের বেধড়ক ওষুধ দিয়েছে।
দিল্লী পুলিশ যা করেছে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছে। দিল্লী পুলিশ উৎপাতকারীদের লাঠিচার্জ করে কোনঠাসা করে দিয়েছে। আসলে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার (Jamia Millia Islamia) ছাত্ররা প্রতিবাদের নামে দিল্লীতে অশান্তি ছড়ানোর কাজ করছিল। যার জন্য পুলিশ একশন নিতে বাধ্য হয়। কট্টরপন্থীরা বিরোধ প্রদর্শনের নামে বহু জায়গায় আতঙ্কবাদীদের মতো আচরণ করেছে। বেশকিছু জায়গায় এম্বুলেন্সে আটকে, গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। জামিয়া নগরে দুর্বৃত্তরা ৩ টি ডিটিসি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। চালক এবং অন্যান্য কর্মীরা তাদের জীবন বাঁচাতে দৌড়ে পালায়।
https://twitter.com/doamuslims/status/1206570391713583106?s=19
এরপর দিল্লী পুলিশ জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার ছাত্রদের এমন বেধড়ক মার দেয় যে উপদ্রবকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। এর মধ্যে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার ছাত্র সাহিল এর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ভাইরাল হয়েছে। উৎপাতকারী সাহিল অশান্তি ছড়িয়ে মহিলা ছাত্রীদের পেছনে লুকিয়ে পড়ে। দিল্লী পুলিশ সাহিনকে টেনে মহিলা ছাত্রীদের পেছন থেকে বের করে। এরপর শুরু হয় উত্তম মধ্যম মার। এখন এক বোরখা দত্ত নামের এক সাংবাদিক সেই উৎপাতকারী ছাত্রদের প্রতি সহানুভূতি জানাতে পৌঁছে গেছে। বোরখা দত্ত বলেন তোমাদের মনের দারুন সাহস। সাহিল ছাত্র ছাত্রীরা বলে, হ্যাঁ আমরা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পায় না।
সাহিন ও তার দুই বান্ধবী বলে আমরা একমাত্র আল্লাহকে ভয় করি, হিন্দুত্ববাদী সরকার মোদী সরকারকে ভয় করি না। তিন ছাত্র ছাত্রীই কেরালা রাজ্য থেকে দিল্লীর এই ইউনিভার্সিটিতে পড়তে আসেন। সাংবাদিক বোরখা দত্ত বলেন, আপনারা মেয়েদের উদ্যেশে কি বলতে চান। মহিলা ছাত্রী বলেন মেয়েদের উচিত আওয়াজ তোলা, কাউকে ভয় না করে আওয়াজ তোলা।