বাংলা হান্ট ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় টানা দু’বছর জেলে ছিলেন বীরভূম (Birbhum) জেলা তৃণমূল (Trinamool Congress) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। দুর্গাপুজোর আগেই ছাড়া পেয়েছেন তিনি। জেলবন্দি থাকার কারণে বহুদিন রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে হয়েছে তাকে। এবারে আবার আস্তে আস্তে বীরভূমে সংগঠনের হাল ধরেছেন তিনি। আগের মতো আর হম্বিতম্বি নয়, এবারে সবাইকে নিয়ে চলার বার্তা দিয়েছেন বীরভূমের ‘বাঘ’। শুক্রবার মহম্মদবাজারে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেও সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলার বার্তাই শোনা গেল কেষ্টর মুখে। যেই কেষ্টর নাম এক সময় ‘বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেত’ এখন সেই কেষ্টই যেন মাটির মতো নরম মানুষ। প্রতিশোধ, প্রতিযোগিতা নয়, বরং সবসময় একসঙ্গে থাকার বার্তা শোনা যাচ্ছে তার মুখে।
ধীরে ধীরে রাজনীতির চেনা ছন্দে ফিরছেন কেষ্ট। এবারে দলের ভোটে কীভাবে লিড বাড়বে সেই নিয়ে টিপস দিয়ে দিলেন কেষ্ট। সকলকে একসঙ্গে চলার বার্তা দেন কেষ্ট মণ্ডল। বার্তা দিয়ে অনুব্রত বললেন, “এই ব্লকে এবার লিড কিছুটা কম হয়েছে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চললে মানুষের ভাল হয়, এলাকার ভাল হয়। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি আমিও সবাইকে নিয়ে চলব।”
মহম্মদবাজার ব্লকের সোঁতসালে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান ছিল তৃণমূলের। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়েই ভোটে লিড বাড়ার উপায় জানিয়ে কেষ্ট বলেন, ‘মহম্মদবাজারের দুটি সাংগঠনিক ব্লক থেকে একটিতে ২০ হাজার এবং অপরটিতে ৩০ হাজার ভোটের লিড করতে হবে।’ এলাকার নেতা আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, কালী বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস সিংহদের বার্তা দেন কেষ্ট।
বলেন, “এই এলাকায় আশিসদা, কালীকে বলব ৬টা অঞ্চলে ৩০ হাজার ভোটের লিড টার্গেট নিলেই হয়ে যাবে। আর তাপসকে বলব এখন থেকে যদি টার্গেট
নেয় তাহলে ওর এলাকার ৬টি অঞ্চলে ২০ হাজার ভোটের লিড হয়ে যাবে।” এদিকে অনুব্রত যেমন রাজনীতির চেনা ছন্দে ফিরছে তেমনি অনুব্রতর জেলমুক্তির পর থেকেই ফী বীরভূমে ফের দিকে দিকে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ছবি।
আরও পড়ুন: বজ্রপাত সহ তুমুল বৃষ্টি! কাল ভিজবে দক্ষিণবঙ্গের জেলার পর জেলা: আবহাওয়ার আগাম খবর
বিগত কিছু দিনে বারে বারে বিরোধী গোষ্ঠীর হাতে আক্রান্ত হতে হচ্ছে অনুব্রত অনুগামীদের। এরই মাঝে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলার বার্তা কি তাহলে জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের উদ্দেশে? এই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। পুজোর পর অনুব্রত বিভিন্ন জায়গায় বিজয়া সম্মিলনী করলেও সেখানে দেখা মেলেনি কাজল শেখের। যদিও অনুব্রত ও কাজল বরাবরই দাবি করে এসেছেন যে তৃণমূলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।