বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতবছর আমফানের পর এবার ইয়াসের দাপটে রীতিমতো বিধ্বস্ত বাংলা।মৌসম ভবন জানিয়েছে ক্ষতি হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকার ফসল, ভেঙে পড়েছে বাড়িঘর। তবে ইয়াসের দাপট শেষ হতেই ফের চলেছে তাপমাত্রার পারদ। এখন চিন্তা একটাই, কবে আসবে বর্ষা। মৌসম ভবন আগেই জানিয়েছিল, এবার কিছুটা আগেই মিলতে পারে বর্ষার দেখা। তবে পরপর ঘূর্ণি ঝড়ের দাপট চলায় পশ্চিমবঙ্গে হতে চলেছে গড় বৃষ্টিপাত। অতি ভারী বর্ষার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
কবে আসছে বর্ষাঃ
মৌসম ভবন জানিয়েছে, এবার সময়ের থেকে কিছুটা আগেই কেরলে মৌসুমী বায়ুর জেরে বৃষ্টিপাত শুরু হবে। যার ফলে পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা আসছে বেশ কিছুটা আগেই। সাধারণত জুন মাসের ১ তারিখে কেরলে বর্ষার প্রবেশ হয়। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গে বর্ষা সাধারণত প্রবেশ করে ৫ জুন। দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে বর্ষণ শুরু হয় ১০ জুন থেকে। তবে আবহাওয়াবিদদের মতে, এবার একদিন আগে অর্থাৎ ৩১ মে থেকেই শুরু হতে চলেছে বর্ষার দাপট। অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শুরু হতে পারে বৃষ্টি। মৌসম ভবন আরো জানিয়েছে, কেরল থেকে গোয়া অভিমুখে এগিয়ে যেতে পারে মৌসুমী বায়ু। ফলে জুনের ৫-৬ তারিখ থেকেই দেশজুড়ে শুরু হতে পারে বৃষ্টি।
পশ্চিমবঙ্গে কেমন থাকবে আবহাওয়াঃ
পশ্চিমবঙ্গে আগামী কয়েকদিন ধরেই রয়েছে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। আলিপুর আওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হতে পারে ২৮.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বিকেলের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান ও পূর্ব বর্ধমানে। এছাড়াও বৃষ্টি হতে পারে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, এবং নদিয়ায়। যদিও আগামী কয়েকদিন ধরেই হালকা বৃষ্টির স্বাদ পেতে চলেছে বাংলা, তবে গরম এখনই কমছে না বলেই অভিমত আবহাওয়াবিদদের। কারণ আজও বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮৬ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬৮ শতাংশ। আজ উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও আগামীকাল বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দুই দিনাজপুর এবং মালদায়। সাথে সাথেই ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে হাওয়া।
দেশের কোথায় কোথায় রয়েছে বৃষ্টির সম্ভবনাঃ
শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় আইএমডি জানিয়েছে, আজ বিকেলে দিল্লি সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় বইতে পারে কালবৈশাখীর হাওয়া। হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ২০ থেকে ৪০ কিলোমিটার/ঘন্টা। অন্যদিকে উত্তর-পশ্চিম ভারতের হিমালয়ের পাদদেশে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে শুরু হতে পারে বিচ্ছিন্ন তথা ভারী বৃষ্টি। গত কয়েকদিন ধরেই দিল্লির তাপমাত্রা ছিল যথেষ্ট বেশি আর সেই কারণেই তৈরি হয়েছে এই নিম্নচাপ।