বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইয়াসের স্মৃতি এখনো দগদগে বাংলায়, এরই মধ্যে ফের ধেয়ে আসছে ঝড় এবং বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। গতকাল বজ্রপাতের জেরে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২৭ জনের। যার মধ্যে শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে মারা গিয়েছেন সাতজন। আজ আবার ঝড় বিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যজুড়ে অন্তত এমনটাই জানালো আবহাওয়া দপ্তর। কিছুদিন আগেই, ১১ ও ২৬ তারিখ বান আসতে পারে বলে মানুষ ও প্রশাসনকে সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার আগেই ফের একবার বৃষ্টিতে ভাসতে পারে রাজ্য এমনটাই অনুমান আবহাওয়া দপ্তরের।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দু তিন ঘন্টার মধ্যেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি শুরু হতে পারে রাজ্যজুড়ে। বিশেষত দুই ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর এবং হাওড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে রয়েছে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। এছাড়া পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বীরভূমের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝড়ো হাওয়া।
সাথে সাথেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। এছাড়া মুর্শিদাবাদ জেলাকেও সতর্ক করা হয়েছে আবহাওয়া দপ্তর তরফে। বর্তমানে উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে নিম্নচাপ। এই নিম্নচাপের হাত ধরেই বর্ষা প্রবেশ করার কথা ওড়িশা, ছত্রিশগড় এবং বাংলায়। কিন্তু আবহাওয়াবিদদের অনুমান অনুযায়ী তার আগেই ফের একবার বৃষ্টিতে ভাসতে পারে পশ্চিমবঙ্গ।
প্রায় সাত থেকে কুড়ি সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে গোটা বঙ্গ জুড়ে। বাদ পড়েনি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিও। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী দু-তিন ঘণ্টা বৃষ্টিতে ভিজতে পারে কোচবিহার, কালিম্পং, জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ অঞ্চল। তবে আবহাওয়াবিদদের অনুমান এখনই তীব্র দাবদাহ থেকে মুক্তি পাচ্ছে না বঙ্গবাসী। আজ কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হতে পারে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি কম। অন্যদিকে বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ প্রায় ৮৯%। আর তার জেরেই বিকেলের দিকে শুরু হতে পারে হালকা বৃষ্টি।
আগামী ১১ জুন নাগাদ বঙ্গোপসাগরীয় নিম্নচাপের হাত ধরে বাংলায় প্রবেশ করবে বর্ষা। তবে তার আগেই আজকের এই দুর্যোগ সম্পর্কে সর্তকতা জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। কারণ ভরা কোটাল আরও বেশি বাড়তে পারে দুর্যোগের দাপট। ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, মূলত আকাশ থাকবে মেঘলা। বজ্রপাত থেকেও সতর্ক করা হয়েছে মানুষজনকে।