বাংলা হান্ট ডেস্ক: বছর শেষে ফের ঘূর্ণাবর্তের চোখরাঙানি। আবহাওয়া দপ্তর (Weather Department) জানাচ্ছে দক্ষিণ বাংলাদেশের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩.১ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে ওদিকে নতুন করে আসছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ৩০শে ডিসেম্বর ঢুকবে বলে জানা যাচ্ছে।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে বর্ষশেষ ও বর্ষবরণে দক্ষিণ ভারতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম ভারতেও বৃষ্টি হতে পারে। ওদিকে ঘূর্ণাবর্তের কারণে বাড়ছে তাপমাত্রা। বাংলাদেশে থাকা ঘূর্ণাবর্তের জেরেই ভরা পৌষে বাংলা থেকে উধাও শীত! দেশের অধিকাংশ অংশেই গত কয়েকদিনে বেড়েছে তাপমাত্রা।
দক্ষিণবঙ্গেও ক্রমশ্য ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রার পারদ। ভোরের দিকে দক্ষিণের বেশিরভাগ জেলা কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকলেও বেলা বাড়তেই বাড়ছে তাপমাত্রা। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, পুবালী হাওয়ার দাপটে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢোকার কারণে বাড়ছে তাপমাত্রা। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রার বিশেষ পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: মোদী কামাল! কেন্দ্রের ফেলনা বিক্রি করেই দু’টি চন্দ্রযান পাঠানোর টাকা উঠে গেল, মোট কত আয় হল?
বছর শেষ বা ১ জানুয়ারি, ভারী ঠান্ডা থেকে বঞ্চিত থাকবে দক্ষিণবঙ্গ। কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত এই বছরে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: নতুন বছরেই ফের বিরাট উপহার পাবেন সরকারি কর্মীরা? কি জানাচ্ছে কেন্দ্র?
গত ২৪ ঘন্টায় সিকিম, অসম ও তামিলনাড়ুতে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। উত্তরবঙ্গে আজ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা। হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে সিকিমে। তার প্রভাব পড়তে পারে দার্জিলিঙের উঁচু পার্বত্য এলাকায়। আগামী কয়েকদিন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা একই রকম থাকবে।