বাংলাহান্ট ডেস্ক : আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather Office) আগেই জানিয়েছিল আগামী ১৭ অক্টোবরের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। পরের দিকে যা সুপার সাইক্লোনের রূপ নিতে পারে। সেই আশঙ্কার মধ্যেই উত্তর আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়। এর গতিপথ কোনদিকে হতে পারে সেই বিষয়ে আবহাওয়া দফতর নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে না পারলেও, ২-৩ দিনের মধ্যে তা পশ্চিম মুখী হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে এদিনও উত্তরবঙ্গের কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টি হলেও বৃহস্পতিবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে জানানো হয়েছে, আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে।
এক নজরে আজকের আবহাওয়া :
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা : ৩১.৪°সেলসিয়াস
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা : ২২.৫° সেলসিয়াস
আর্দ্রতা : ৮৬%
বাতাস : ১৪ কিমি/ঘন্টা
মেঘে ঢাকা : ৬৯%
আজকের আবহাওয়া : কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুত সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্মনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৫ শতাংশ।
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া : ১৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। পাহাড়ের বাকি পাঁচ জেলাতেও কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১৪ অক্টোবর শুক্রবার সকালের মধ্যে সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
১৪ অক্টোবর শুক্রবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আপাতত কোথাও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। তাপমাত্রার পরিবর্তনেরও কোনও পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি আবহাওয়া দফতরের তরফে।
আগামীকালের আবহাওয়া : দক্ষিণবঙ্গে আগামি তিন থেকে চার দিন বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। দেশের সিংহভাগ অংশ থেকে বর্ষা বিদায়ের পরিস্থিতি তৈরি হলেও পশ্চিমবঙ্গ এখনই বর্ষার প্রভাবমুক্ত নয় বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
সাইক্লোন : ১৮ থেকে ১৯ অক্টোবরের মধ্যে ভারতের একাধিক উপকুলবর্তী রাজ্যে সুপার সাইক্লোন সিত্রাং আঘাত হানতে পারে। ১৯ থেকে ২০ অক্টোবরের মধ্যে এটি সর্বাধিক শক্তি সঞ্চয় করে উপকুলবর্তী কোনও একটি এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে বলেই জানা যাচ্ছে। ল্যান্ডফলের সময় এর সম্ভাব্য সর্বোচ্চ গতিবেগ ২২০ থেকে ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত থাকতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে।