বাংলাহান্ট ডেস্ক : পশ্চিমি হাওয়ার দাপটে হার মানল নিম্নচাপ। নিম্নচাপের আশঙ্কা আপাতত সরে গেল রাজ্যের উপর থেকে। বঙ্গোপসাগরের উপর যে অতিগভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে তার জেরে রাজ্যে দুর্যোগের কোনও আশঙ্কা নেই। তবে উপকূলের কিছু জায়গায় বৃহস্পতি বার রাতে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে অতি ভারী নিম্নচাপের খবর পেয়ে রীতিমত চিন্তায় পড়ে যান রাজ্যের কৃষকরা। এই সময় মাঠ ভর্তি পাকা ধানে। অনেক জায়গায় রবি শস্য চাষের প্রস্তুতিও শেষ। অনেক জায়গায় তৈরি হয়ে গেছে আলু বোনার জমি। এই সময় যদি বৃষ্টিপাত হয় তাহলে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হবেন কৃষকরা। কিন্তু পশ্চিমী হওয়া অবশেষে সেই চিন্তা মেটাল।
আরোও পড়ুন : সর্বোচ্চ কত টাকা জমা করতে পারবেন ফিক্সড ডিপোজিটে? বিনিয়োগের আগে জেনে নিন নিয়ম
পশ্চিমী হাওয়ার ফলে নিম্নচাপের বিশেষ প্রভাব পড়ল না রাজ্যে। রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃহস্পতিবার বিকালে নিম্নচাপের প্রভাবে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। কয়েক ফোঁটা বৃষ্টি হয়েছে শহর কলকাতাতে। বৃষ্টির ফলে কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনাল ম্যাচ। তবে হাওয়া অফিস জানিয়েছে নিম্নচাপের ফলে একটানা বৃষ্টি হবে না রাজ্যে।
আরোও পড়ুন : ‘আমি একজন আইনজীবী! স্যর, দয়া করে আমাকে বাঁচতে দিন’, শুনানিতে ভেঙে পড়লেন জ্যোতিপ্ৰিয়
উপগ্রহ চিত্র থেকে এমনটাই জানা গেছে। মাঝরাত পর্যন্ত হালকা বৃষ্টি হতে পারে রাজ্যের কিছু জেলায়। আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তাররা জানিয়েছেন, শুকনো পশ্চিমী হাওয়া বইতে শুরু করেছে উত্তর ভারতের উপরে। তাই নিম্নচাপটি পশ্চিমবঙ্গের উপকূল থেকে ২০০ কিলোমিটার দূর দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশ উপকূলের দিকে।
এর ফলে এই নিম্নচাপের প্রত্যক্ষ প্রভাব বাংলায় পড়েনি। নিম্নচাপের প্রভাব না পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তি পেয়েছেন বাংলার কৃষকরা। নাহলে বহুবার নিম্নচাপের জেরে প্রবল বৃষ্টির ফলে ব্যাপক ক্ষতির হয় চাষাবাদের ক্ষেত্রে। আপাতত বাংলাদেশে এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় কিনা সেটাই দেখার।