বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রবিবার সন্ধ্যায় অন্ধ্রপ্রদেশে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) ‘গুলাব’। বাংলায় তেমন ভয়ঙ্কর অভিঘাত না দেখা গেলেও অন্ধপ্রদেশ এবং ওড়িশা মিলিয়ে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে তাদের তিনজনের। গতকাল আছড়ে পড়ার সময় এই ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ৯৫ কিলোমিটার। যদিও আইএমডি জানিয়েছে আপাতত শক্তি কমিয়ে ক্রমশ আরও গভীর নিম্নচাপে পরিণত গুলাব। তবে বিশেষত ওড়িশা সাতটি জেলা এখনও যথেষ্ট বড় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক জানিয়েছেন এই সাতটি জেলা হল, গঞ্জম, গজপতি, কান্ধামাল, কোরাপুট, রায়গড়, নবরঙ্গপুর ও মালকানগিরি। অন্যদিকে বাংলার ক্ষেত্রে ভয়ের ততখানি কারণ না থাকলেও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বিভিন্ন এলাকা জুড়ে। বিশেষত দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মৎস্যজীবীদের ইতিমধ্যেই সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
আবহাওয়ার খবরঃ
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা | 33 ° C |
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা | 27° C |
আদ্রতা | 85% |
বাতাস | 8 km/h |
মেঘে ঢাকা | 72% |
আজকের আবহাওয়াঃ
আজকের দিনে কলকাতা শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। সকালের দিকে এবং রাতের দিকে এলাকার কয়েকটি জায়গায় একবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়াঃ
পূর্ব মেদিনীপুরর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণার একাধিক জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে কলকাতায় রয়েছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। তবে আগামীকাল কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি ও হাওড়ায় প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ৩০-৪০ কিমি বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়াও।
আগামীকালের আবহাওয়াঃ
আগামীকাল কলকাতা শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। সকালের দিকে মাঝারি বৃষ্টিপাত ও ভারি বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় এবং রাতের দিকে এলাকার কিছু কিছু জায়গায় একবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় জেলা অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “২৮ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে।” বিশেষত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, হাওড়া, দুই মেদনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হুগলি, কলকাতা, বাঁকুড়া, ঝারগ্রাম এবং পুরুলিয়ায়।