বাংলা হান্ট ডেস্ক : সকালের দিকে আংশিক মেঘলা আকাশ। হালকা শীতল হাওয়া বয়ে চলেছে মৃদুমন্দ গতিতে। বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার রাজ্যের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা কমবে বলে জানা যাচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather Report) জানিয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যে আবারও বাড়বে তাপমাত্রার পারদ।
এক নজরে আজকের আবহাওয়া :
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা : ১৫.৩°সেলসিয়াস
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা : ১২.৮° সেলসিয়াস
আর্দ্রতা : ৫৩%
বাতাস : ১৪ কিমি/ঘন্টা
মেঘে ঢাকা : ৮১%
আজকের আবহাওয়া : শহর কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকার আগামী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সকালের দিকে বেশির ভাগ জায়গায় কুয়াশা থাকবে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার হয়ে যাবে আকাশ। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৩ ও ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। বৃহস্পতিবার এই তাপমাত্রা ছিল ১৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৭৯ শতাংশ।
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া : উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং-এ হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া মোটের উপর শুকনোই থাকবে। আগামী ২৪ ঘন্টায় হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং মালদা জেলায়। শনিবার সকালের মধ্যে পাহাড়ের সবকটি জেলার আবহাওয়াও শুকনো থাকার সম্ভাবনা রয়েছ। আগামী ২৪ ঘন্টায় উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে রাতের তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন না হলেও পরে আগামী ৩ দিনে তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
মৌসম ভবন সূত্রে খবর আগামী ২ দিন দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়াই শুকনো থাকবে। উত্তরবঙ্গের মতোই আগামী ২৪ ঘন্টায় রাতের তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন না হলেও, পরের তিন দিনে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি করে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে বলেও জানানো হয়েছে হাওয়া অফিস।
আগামীকালের আবহাওয়া : রাজ্য জুড়ে আবারও তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। আগামী সপ্তাহে পারদ ছুঁতে পারে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর জেরেই নেতাজি জয়ন্তী, কিংবা প্রজাতন্ত্র দিবস এবং সরস্বতী পুজোয় চেনা শীতের দেখা মিলবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।