বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আইএমডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১৩ মে, বুধবার আমফান ঝড়ের জন্ম প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। আর আগামী ১৬ মে এই ঝড় তীব্র আকার ধারণ করবে। এখনো এই ঝড়ের গতিমুখ সম্পর্কে কিছুই বলা যাচ্ছে না। সাধারণ ভাবে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের উপকূলে আছড়ে পড়বে মনে করা হলেও INCOIS মনে করছে অন্ধ্র বা তামিলনাড়ু উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে এই ঝড়। যা ওড়িশার দিকে বয়ে যাবে। উভয় ক্ষেত্রেই দক্ষিণ এর জেলা গুলিতে ঝড়ের প্রভাব পড়বে।
১৯-২০ মের মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে আম্ফান। তবে এখনই ভয়ের কোন কারণ নেই বাংলার মানুষের। আন্দামান সাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়, আগামী ১৭ ই মের পর বাঁক নিয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে বাংলাদেশ বা মায়ানমারের দিকে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন আবহাওবিদরা।
ঘূর্ণীঝড়ের আশঙ্কায় সমদ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। বিশেষত যারা গভীর সমুদ্র এবং বঙ্গোপসাগরের দিকে রয়েছেন তাঁদের আগামী সোমবাররে মধ্যেই স্থলভাগে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা উপকূল এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকা থেকে মৎস্যজীবীদের বঙ্গোপসাগর এলাকায় মাছ ধরতে নিষেধ করা হয়েছে
শহরের তাপমাত্রা
গতকাল কলকাতা (Kolkata) শহরের সকালে তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আজকে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।
ভারতের আবহাওয়া দফতর উত্তর ভারত মহাসাগর, আরব সাগর এবং ভারত মহাসাগরে ভবিষ্যতের ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য ১৩ টি দেশ কর্তৃক নির্বাচিত ১৬৯ টি ঝড়ের নাম প্রকাশ করল। নামগুলির মধ্যে গুলাব, তেজ, অগ্নি, আগ অন্যতম। ২০০৪ সালে আটটি দেশের আবহাওয়া বিভাগ দ্বারা সূচিত ঘূর্ণিঝড়ের নামের পূর্বের তালিকাটি উত্তর ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর বা আরব সাগরে আরও এই ঘূর্ণিঝড়ের পরে শেষ হয়ে যাবে। পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হবে ‘আম্ফান’, থাইল্যান্ডের প্রস্তাবিত একটি নাম, যা ২০০৪ সালের তালিকায় শেষ।