বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আবহাওয়া ( weather) দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে, আজ বিকেল থেকেই জেলায় জেলায় বৃষ্টি শুরু হবে। কাল দুপুরে আছড়ে পড়বে আম্ফান ( amphan) । তাই সোমবার থেকেই ঘুর্ণিঝড় মোকাবিলায় কোমর বেঁধে তৈরি মমতার সরকার ( mamata government) ।
উপকূল সংলগ্ন অঞ্চলে ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে মাইকিং করে প্রচার। পৌঁছে গিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা ও সিভিল ডিফেন্সের দল। তারা যথাক্রমে রামনগর ১ ব্লক ও হলদিয়াতে অবস্থান করছে। ইতিমধ্যে ব্লকে ব্লকে পৌঁছে গিয়েছে ৪০ হাজার ত্রিপল ও ৩৮৫ মেট্রিক টন চালও। খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বাসিন্দাদের।
সময় যত এগোচ্ছে শক্তিশালি হচ্ছে ঘুর্ণিঝড় আম্ফান ( amphan)। এই মুহুর্তে দীঘা থেকে ৯০০ কিমি দক্ষিণে অবস্থান করছে ঝড়টি। আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যেই এই পথ অতিক্রম করে ভূ ভাগে আঘাত হানার সম্ভাবনা। আগে ১৭০ কিলোমিটার এর কাছাকাছি আভ্যন্তরীণ ঘুর্নাবর্ত আশা করা হলেও শক্তি বাড়িয়ে তা ২৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় পৌঁছে যাবে মনে করা হচ্ছে
রবিবার ভারত আবহাওয়া অধিদফতর (আইএমডি) জানিয়েছে যে তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানবে এবং বঙ্গোপসাগরে উত্তর-পশ্চিম দিকে দ্রুত অগ্রসর হবে এবং পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ (পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ) অতিক্রম করবে। বুধবার একটি ‘খুব মারাত্মক ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আয়লার মতোই দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তান্ডব চালাবে ঝড়টি। পূর্ব মেদিনীপুর দিয়ে প্রবেশ করে ঝড়টি হাওড়া, কলকাতা, উঃ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশের দিকে চলে যাবে।
ঘূর্ণীঝড়ের আশঙ্কায় সমদ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা উপকূল এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকা থেকে মৎস্যজীবীদের বঙ্গোপসাগর এলাকায় মাছ ধরতে নিষেধ করা হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে তো প্রবল ঝড়-বৃষ্টির পাশাপাশি দক্ষিণ এর সব জেলাতেই মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।