বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আবারো বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে আসামে (assam), জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর (weather office) । সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টির ফলে ইতিমধ্যেই বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্রের জল। যে কোনো মুহুর্তে দুকুল ছাপিয়ে বন্যায় ভাসাতে পারে বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
এবার সঠিক সময়েই ঢুকেছে বর্ষা। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। কেন্দ্রীয় জল কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের জলের গভীরতা ৪৯ মিটারের বেশী। যা বিপদসীমার থেকে ১ মিটার বেশী বলেই জানা যাচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তর ইতিমধ্যে বাংলা সহ উত্তর পূর্বের রাজ্য গুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। যার জেরে যে কোনো মুহুর্তে দুকুল ছাপিয়ে বইতে শুরু করবে ব্রহ্মপুত্র নদ, মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড় আমফান, নিসর্গের পর এবার পালা গতির। আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটিয়ে বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়াবিদরা। তবে ঠিক কখন এবং কোন দিকে মোড় নেবে, তা এখনও জানান সম্ভব হয়নি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সবকিছু জানা সম্ভব হবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর
আবার, নিম্নচাপের হাত ধরে রাজ্যে ঢুকছে জলীয় বাস্প। আবহাওয়ার ঘটবে পরিবর্তন। এই নিম্নচাপের জেরেই সপ্তাহভোর চলবে বৃষ্টির পালা। গত বছর এই সময় বৃষ্টির দেখা না মিললেও, এবছর কিন্তু বেশ ঝমঝমিয়েই বৃষ্টি চলছে। যার জেরে এই সংকটের দিনে বন্যা হওয়ারও আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে, জানাল আবহাওয়া দফতর।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণাবর্ত সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ০.৯ কিমি থেকে ৭.৬ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। এই ঘূর্ণাবর্ত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ওড়িশার উপকূলে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছে আই এম ডি। তবে এখনই ভয়ের কোন কারণ নেই। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জানা যাবে, আদৌও এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে কিনা।