বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এই মাসের শেষেই দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ও সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে নিম্নচাপ, যা শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ইতিমধ্যেই উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র তাই আগামী ২৪ ঘন্টা মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে, নিম্নচাপটি ঘূর্নিঝড়ে পরিনত হলে ৪ মে মায়ানমার বা বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। কলকাতায় এই ঝড়ের আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
গতকাল শহর কলকাতার (Kolkata) তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩০ ডিগ্রির আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। ঝড় বৃষ্টির ফলে এপ্রিলের প্রবল গ্রীষ্মের মধ্যেও কলকাতার আবহাওয়া বেশ নিম্নগামী। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।
গত কয়েকদিনের একটানা বৃষ্টিতে শহর কলকাতার তাপমাত্রা কমেছে অনেকটাই। স্বস্তিতে সাধারণ মানুষ। আবহাওয়া সূত্রের খবর, আরো কিছুদিন চলবে বৃষ্টির দাপট । দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখীও ৷ বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গের দুই জেলায়। কার্যত মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যজুড়েই ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে রয়েছে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা । ওইসব অঞ্চলে ঝড় বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। আবার নতুন সপ্তাহেও থাকবে ঝড়ের আবহাওয়া। সোমবার হতে পারে প্রবল ঝড় বৃষ্টিসহ বজ্রপাত