বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আরো স্পষ্ট ঘুর্ণিঝড় আম্ফান। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আছড়ে পড়তে চলেছে বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে এমনটাই। ২৭ এপ্রিল আন্দামান সাগরের উপর এই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। ২৮ এপ্রিল একই অঞ্চলে থেকে তা শক্তি সঞ্চয় করতে শুরু করেছে। ২৯ এপ্রিল আজ ওই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। ৩০ এপ্রিল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে সমুদ্রের উপর দিয়ে বইতে শুরু করবে এই ঝড়। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে, নিম্নচাপটি ঘূর্নিঝড়ে পরিনত হলে ৪ মে মায়ানমার বা বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। নর্দান ইন্ডিয়ান ওসেন সাইক্লোন এর নামগুলি পর্যায়ক্রমে আটটি দেশ রাখে। সেই পর্যায় মেনেই এই ঝড়ের থাইল্যান্ড নামকরন করেছে আম্ফান।
কলকাতা সহ দক্ষিণ এর জেলাগুলিতে আজ দিন ভর ভারী বৃষ্টি চলবে এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। পাশাপাশি আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে আরো জানা যাচ্ছে যে, আগামী বৃহস্পতিবার ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সব দক্ষিণ এর সব জেলায় কালবৈশাখী ও ভারী বৃষ্টি হবে।
গতকাল শহর কলকাতার (Kolkata) তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ২৯ ডিগ্রির আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। ঝড় বৃষ্টির ফলে এপ্রিলের প্রবল গ্রীষ্মের মধ্যেও কলকাতার আবহাওয়া বেশ নিম্নগামী হলেও, আজ তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।
গত কয়েকদিনের একটানা বৃষ্টিতে শহর কলকাতার তাপমাত্রা কমেছে অনেকটাই। স্বস্তিতে সাধারণ মানুষ। আবহাওয়া সূত্রের খবর, আরো কিছুদিন চলবে বৃষ্টির দাপট । দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখীও ৷ বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গের দুই জেলায়। কার্যত মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যজুড়েই ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে রয়েছে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা । ওইসব অঞ্চলে ঝড় বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। এই সপ্তাহেও থাকবে ঝড়ের আবহাওয়া। হতে পারে প্রবল ঝড় বৃষ্টিসহ বজ্রপাত।