বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেশজুড়ে যেভাবে ভারী ও অতিভারী বর্ষন শুরু হয়েছে তা যে কোনো মুহুর্তে ধ্বংসাত্মক রূপ নিতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া দপ্তর (weather office) । ইতিমধ্যেই ১১৮ শতাংশ বেশী বৃষ্টি হয়েছে দেশে, আগামী ১০ দিনে বৃষ্টি আরো বাড়বে। এই অতিবৃষ্টির কারনে ভূমিধস ও বন্যায় প্রচুর মানুষ ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে মনে করছে আবহাওয়া দপ্তর।
২০২০ সালে জুন মাসে বৃষ্টি ভেঙে দিয়েছে গত এক যুগের রেকর্ড। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, গত ১২ বছরে এমন বৃষ্টি হয়নি দেশে। কয়েকটি বিচ্ছিন্ন স্থান বাদ দিলে দেশে কোথাও বৃষ্টির ঘাটতি নেই৷ পাশাপাশি অতিবৃষ্টির কারনে বাংলা, বিহার ও আসামের বেশ কিছু অংশ প্লাবিত।
তবে এখানেই শেষ নয় মধ্যভারত ও গুজরাটে অবস্থান করছে ঘুর্নাবর্ত। যা আগামী ১০ দিনে আরো ভারী বৃষ্টির কারন হবে। যার ফলে ইতিমধ্যে ফুঁসতে থাকা নদীগুলির জল প্লাবিত হয়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, হিমালয় সংলগ্ন অঞ্চলে ভূমিধসের কারনেও প্রাণহানি ও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, স্বাভাবিকের থেকে ১৮ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে গত মাসে। এই বৃষ্টিতে লাভ হয়েছে দেশের কৃষকদের। ইতিমধ্যে বীজবপন শুরু হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে ৫.৭ লাখ হেক্টর বেশী জমিতে ধান বোনা হচ্ছে। পিছিয়ে নেই ডাল, তৈলবীজ ও তুলোর চাষও। পাশাপাশি, সুষম বন্টনের কারনে দেশব্যাপী ভালো ফসল হবে।