বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মায়ানমার ও বাংলাদেশ ভূখন্ডে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘুর্ণিঝড় । সরাসরি ভারত ভূখন্ডে আঘাত না হানলেও পরোক্ষ প্রভাব পড়বে ভারতে। আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং উত্তর পূর্ব এর রাজ্যগুলিতে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সাথে হতে পারে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিও। অসম, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরাতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে বারন করা হয়েছে।
বাংলার বেশ কিছু জেলাতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। মে মাসের প্রথম সপ্তাহ জুড়েই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা । আম্ফানের কারনেই ৮ মে পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ভারি বৃষ্টি হতে পারে, এমনটাই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। বিহার ও সংলগ্ন অঞ্চলে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত ঘনীভূত হয়ে এই বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
বুধবার শহর কলকাতার (Kolkata) তাপমাত্রা বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আজ সকাল থেকেই রৌদ্রজ্জ্বল আকাশ দেখা যাচ্ছে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে এই রোদের তেজ আবছা হতে শুরু করবে। আজ অল্প কয়েকটি জায়গায় আবার বজ্র বিদুতসহ ঝড়ের পূর্বাভাস জানান দিচ্ছে হাওয়া অফিস।
কলকাতা, হুগলি ও হাওড়া-সহ একাধিক জেলায় ইতিমধ্যেই কালবৈশাখীর দাপট শুরু হয়েছে। মূলত উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং ঝাড়গ্রামে ঝড়বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। এছাড়াও পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম এবং মালদাতেও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।