তৈরি হচ্ছে নতুন ঘুর্ণবাত, বাজ পড়ে মৃত ৫০, জলমগ্ন বাণিজ্য নগরী : এক নজরে আবহাওয়ার সব খবর

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ইতিমধ্যেই অতিবৃষ্টির কারনে প্লাবিত গোটা দেশ। মুম্বাই সহ অনেক এলাকাই জলমগ্ন। এরই মধ্যে নতুন করে ঘুর্ণবাতের পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দপ্তর। এক নজরে দেশ ও রাজ্যের  আবহাওয়ার সব খবর

rain 1 3

আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে, পশ্চিম উপকূলীয় অন্ধ্র প্রদেশ এবং দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলে পশ্চিমবঙ্গ উপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের চাপ তৈরি হয়েছে। 7.6 কিমি ব্যাসার্ধের এই ঘুর্ণিঝড় মধ্য ভারতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির জন্য দায়ী হবে।

শনিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত হয়েছে। যার জন্য বিহারে ২৯ জন এবং উত্তরপ্রদেশে ২১ জন মারা গিয়েছেন।

136475 rain

গত কয়েকদিনের অতিবৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই মুম্বাই শহরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অনেক গাছ উপড়ে পড়েছে এবং বাড়ির দেয়াল পড়েছে। মুম্বই শহরতলির উপকূলীয় অঞ্চল এবং এর পার্শ্ববর্তী থানে প্রায় 100 মিমি বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।

ওড়িশায় ঘূর্ণাবর্ত এবং দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এবার ধীরে ধীরে দক্ষিণবঙ্গের দিকে আসতে চলেছে বর্ষা। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামে রয়েছে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। পাশয়াপাশি দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে রয়েছে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির আভাস।

1561958550452 GGH29R6KB.1 2

রবিবার সকাল থেকেই কলকাতা শহরের আকাশ মেঘলা। শনিবার শেষ রাতে বৃষ্টিও হয়েছে এক প্রস্থ। সকাল থেকেই গুমোট গরমের বদলে একটা ঠাণ্ডা আবহাওয়া বিরাজ করছে। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল প্রায় ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।

২০২০ সালে জুন মাসে বৃষ্টি ভেঙে দিয়েছে গত এক যুগের রেকর্ড। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, গত ১২ বছরে এমন বৃষ্টি হয়নি দেশে। কয়েকটি বিচ্ছিন্ন স্থান বাদ দিলে দেশে কোথাও বৃষ্টির ঘাটতি নেই৷ পাশাপাশি অতিবৃষ্টির কারনে বাংলা, বিহার ও আসামের বেশ কিছু অংশ প্লাবিত।

rain 1

তবে এখানেই শেষ নয় মধ্যভারত ও গুজরাটে অবস্থান করছে ঘুর্নাবর্ত। যা আগামী ১০ দিনে আরো ভারী বৃষ্টির কারন হবে। যার ফলে ইতিমধ্যে ফুঁসতে থাকা নদীগুলির জল প্লাবিত হয়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, হিমালয় সংলগ্ন অঞ্চলে ভূমিধসের কারনেও প্রাণহানি ও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, স্বাভাবিকের থেকে ১৮ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে গত মাসে। এই বৃষ্টিতে লাভ হয়েছে দেশের কৃষকদের। ইতিমধ্যে বীজবপন শুরু হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে ৫.৭ লাখ হেক্টর বেশী জমিতে ধান বোনা হচ্ছে। পিছিয়ে নেই ডাল, তৈলবীজ ও তুলোর চাষও। পাশাপাশি, সুষম বন্টনের কারনে দেশব্যাপী ভালো ফসল হবে।


সম্পর্কিত খবর