বজ্রপাতে শুধু বিহারেই মৃত ২১৫, পরিস্থিতি হতে পারে আরো ভয়াবহ :আবহাওয়ার খবর

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ক্রমেই পরিবর্তন হচ্ছে আবহাওয়ার। যার জেরে বেড়ে চলেছে একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়। ইতিমধ্যেই গত কয়েক মাসে ঝড়, ভূমিকম্প, বন্যা ও দাবানলে দেশের কয়েক লক্ষ মানুষ প্রভাবিত। এবার চিন্তা বাড়াচ্ছে বজ্রপাতও।

images 2020 07 06T192012.891

জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বজ্রপাত স্বাভাবিক হলেও এবছর বিহার সহ বেশ কিছু অঞ্চলে অত্যাধিক বজ্রপাত দেখা গিয়েছে। শনিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত হয়েছে। যার জন্য বিহারে ২৯ জন এবং উত্তরপ্রদেশে ২১ জন মারা গিয়েছেন। সব মিলিয়ে শুধু মাত্র বিহারেই মৃতের সংখ্যা ২১৫। এই পরিস্থিতির জন্য অবশ্য আবহাওয়ার পরিবর্তনকেই দায়ী করেছেন বিজ্ঞানীরা। পরবর্তী কালে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন তারা।

images 2020 07 06T192003.589

গত কয়েকদিন ধরেই অতি ভারী বৃষ্টিতে ভাসছে আরব সাগরের তীরের দুই রাজ্য মহারাষ্ট্র ও গুজরাত। ইতিমধ্যেই জলমগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা। তবে আগামী দিনে এই দুই রাজ্যে আরো ভয়ংকর বিপর্যয় এগিয়ে আসতে পারে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। হাজির বিপর্যয় মোকাবিলা দল।

ইতিমধ্যেই গুজরাত উপকূলে এনডিআরএফ-এর সাতটি টিম বহাল করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওয়ালসাদ, নভসারি, পোরবন্দর, সুরাট, দ্বারকা, রাজকোট, গির সোমনাথ, জুনাগড়, আমরেলি এবং কচ্ছ—-এই সব এলাকায় রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। পাশাপাশি মহারাষ্ট্রেও প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

গত কয়েকদিনের অতিবৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই মুম্বাই শহরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অনেক গাছ উপড়ে পড়েছে এবং বাড়ির দেয়াল পড়েছে। মুম্বই শহরতলির উপকূলীয় অঞ্চল এবং এর পার্শ্ববর্তী থানে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে ইতিমধ্যে জলমগ্ন বিরাট এলাকা। পাশাপাশি ভরা কোটালের কারনে বিপর্যয় আরো বাড়তে পারে। জানা যাচ্ছে ৪.৬৭ মিটারের ও বেশী উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে তটভূমিতে।

ওড়িশায় ঘূর্ণাবর্ত এবং দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এবার ধীরে ধীরে দক্ষিণবঙ্গের দিকে আসতে চলেছে বর্ষা। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামে রয়েছে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। পাশয়াপাশি দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে রয়েছে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির আভাস।


সম্পর্কিত খবর