আবহাওয়ার মার! ফের একবার সমুদ্র থেকে ফিরতে হচ্ছে মৎসজীবিদের, বাজারে দুর্মূল্য হবে ইলিশ

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ঘূর্ণাবর্ত এর জেরে মৎস্যজীবিদের ফের একবার সমুদ্র থেকে ফিরে আসার উপদেশ দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। ১৫ জুন মাছ ধরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর রীতিমতো আশা নিয়ে ইলিশ আনতে সমুদ্রে গিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা।  কিছু ট্রলার ফিরে এসেছিল বেশ ভাল পরিমাণ ইলিশ নিয়ে। তাতে আরও আশার আলো দেখা গিয়েছিল মৎস্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে। এবার  খারাপ আবহাওয়ার  কারনে দ্বিতীয় দফায় তেমন পরিমাণ ইলিশ না নিয়েই ফিরেছে ট্রলারগুলি।

Ilish Hilsa Fish fresh on a try at market

ইতিমধ্যেই অতিবৃষ্টির জেরে ফুলে ফেঁপে উঠছে তিস্তা, তোর্সা সহ উত্তরের অধিকাংশ নদী৷ প্লাবিত কয়েকটি এলাকাও৷ যে কোনো সময়ে বন্যা হতে পারে। এরই মধ্যে ফের একবার অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ফের অতি ভারী বৃষ্টি হবে উত্তরের ৫ জেলায়।

বাংলার আবহাওয়া/ weather of west bengal

হিমালয়ের পাদদেশ দিয়ে মৌসুমী অক্ষরেখার অবস্থানের কারনেই এবছর অতিরিক্ত বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গে। পাহাড়ে এই অতিভারী বৃষ্টির কারনে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে প্লাবন এর আশঙ্কা করছেন অনেকে। ইতিমধ্যেই বিপদসীমা অতিক্রম করতে চলেছে নদীগুলি। পাশাপাশি অতি বৃষ্টি ডেকে আনতে পারে ভূমিধস।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে জুন মাসে বৃষ্টি ভেঙে দিল গত এক যুগের রেকর্ড। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, গত ১২ বছরে এমন বৃষ্টি হয়নি দেশে। কয়েকটি বিচ্ছিন্ন স্থান বাদ দিলে দেশে কোথাও বৃষ্টির ঘাটতি নেই৷ পাশাপাশি অতিবৃষ্টির কারনে বাংলা, বিহার ও আসামের বেশ কিছু অংশ প্লাবিত।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, স্বাভাবিকের থেকে ১৮ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে গত মাসে। এই বৃষ্টিতে লাভ হয়েছে দেশের কৃষকদের। ইতিমধ্যে বীজবপন শুরু হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে ৫.৭ লাখ হেক্টর বেশী জমিতে ধান বোনা হচ্ছে। পিছিয়ে নেই ডাল, তৈলবীজ ও তুলোর চাষও। পাশাপাশি, সুষম বন্টনের কারনে দেশব্যাপী ভালো ফসল হবে।

X