বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ইতিমধ্যেই প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে গুজরাত ও মহারাষ্ট্র। অতিবৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। আগামী ২৪ ঘন্টায় বর্ষা সরে যাবে উত্তরে হিমালয়ের পাদদেশে। বাংলা সহ ৩ রাজ্যে আগামী ২৪ ঘন্টায় অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দপ্তর (weather office)।
হিমালয়ের পাদদেশে এই অঞ্চলগুলিতে
অতিবৃষ্টির কারনে এই অঞ্চলগুলিতে ভূমিধসেরও আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দপ্তর। পাশাপাশি অনেক অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতিও তৈরি হতে চলেছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় উত্তর প্রদেশ, বিহার, বাংলা ও উত্তরাখণ্ড রাজ্যে প্রবল বৃষ্টি হতে চলেছে। পাশাপাশি আগামী ২ – ৩ দিনে ভাসবে মেঘালয়, সিকিম, অরুনাচল প্রদেশ ও আসাম।
The western end of monsoon trough is south of its normal position and its eastern end near its normal position at mean sea level. It is very likely to shift gradually northwards along the foothills of Himalayas during next 24 hours.
— India Meteorological Department (@Indiametdept) July 8, 2020
আজ আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। পাশাপাশি আরও জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় রয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। অর্থাৎ উত্তরের পাঁচ জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং কালিম্পঙের পাশাপাশি দক্ষিণেও বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ।
ভূটান সহ উত্তরে অতি ভারী বৃষ্টির কারনে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু অঞ্চলে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। এবার আরো বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দপ্তর। যার জেরে যে কোনো মুহুর্তে দুকুল ছাপিয়ে বইতে পারে উত্তরের নদীগুলি।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ফের অতি ভারী বৃষ্টি হবে উত্তরের ৫ জেলায়। হিমালয়ের পাদদেশ দিয়ে মৌসুমী অক্ষরেখার অবস্থানের কারনেই এবছর অতিরিক্ত বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গে।
পাহাড়ে এই অতিভারী বৃষ্টির কারনে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে প্লাবন এর আশঙ্কা করছেন অনেকে। ইতিমধ্যেই বিপদসীমা অতিক্রম করতে চলেছে নদীগুলি। পাশাপাশি অতি বৃষ্টি ডেকে আনতে পারে ভূমিধস।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে জুন মাসে বৃষ্টি ভেঙে দিল গত এক যুগের রেকর্ড। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, গত ১২ বছরে এমন বৃষ্টি হয়নি দেশে। কয়েকটি বিচ্ছিন্ন স্থান বাদ দিলে দেশে কোথাও বৃষ্টির ঘাটতি নেই৷ পাশাপাশি অতিবৃষ্টির কারনে বাংলা, বিহার ও আসামের বেশ কিছু অংশ প্লাবিত।