বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মে মাস মানেই যেন ‘ঘূর্ণিঝড়ের মাস’ (Cyclone)! দেড় দশক আগে এক ১৫ মে-তে আয়লার দাপট দেখেছিল বঙ্গবাসী। এরপর ফের ২০১৯ সালে ফণীর তাণ্ডব দেবে বাংলা। এরপর এই মাসেই আমফান, ইয়াসের দাপট দেখা গিয়েছে এই রাজ্যে। এবার ফের এক মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস (Weather Update) আশঙ্কা দেখা দিয়েছে!
গত কয়েক বছরে বাংলা একাধিকবার ঘূর্ণিঝড়ের ‘দাপট’ দেখেছে। ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে ব্যাপক। তাই স্বাভাবিকভাবেই ফের একবার ঘূর্ণিঝড় আসতে পারে, এই খবর কানে আসার পর থেকেই অনেকের কপালে দেখা গিয়েছে চিন্তার ভাঁজ। সত্যিই কি বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে? বাংলায় কি ফের চলবে তাণ্ডব? বৃহস্পতিবার এই নিয়ে বিরাট আপডেট দিল মৌসম ভবন।
দু’সপ্তাহের আউটলুকে এই বিষয়ে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগর তো বটেই, আরব সাগরেও একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২২ মে নাগাদ আরব সাগর এবং ২৩ মে নাগাদ বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। কারণ নিম্নচাপের শক্তিবৃদ্ধির জন্য যে যে শর্তগুলি রয়েছে তার মধ্যে বেশ অনেকগুলি শর্তই অনুকূল রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্টে বিরাট রদবদল! এক লহমায় বদলে গেল ১২ পড়ুয়ার জীবন!
ঘূর্ণিঝড় তৈরির জন্য যেমন সাগরের জলের তলার তাপমাত্রা ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে হয়। ওয়েই সঙ্গেই কমপক্ষে ৫০ মিটার গভীরতা অবধি এই তাপমাত্রা থাকতে হয়। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে একেবারে এই ধরণের তাপমাত্রাই রয়েছে। সাগরের জলতলের তাপমাত্রা ৩০-৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি রয়েছে। এই গরম জলকেই ঘূর্ণিঝড়ের ‘চালিকাশক্তি’ বলে মনে করা হয়।
দফাত দফায় নিম্নচাপের শক্তিবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৪ মের পর থেকে তা গভীর নিম্নচাপের আকার নেবে। এখনও অবধি হাওয়া অফিসের তরফ থেকে ঘূর্ণিঝড় তৈরির কোনও পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি। তবে জানা যাচ্ছে, যদি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, তাহলেও আমফান অথবা ইয়াসের মতো তছনছকারী ঘূর্ণিঝড় হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
একইসঙ্গে মৌসম ভবনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আন্দামান সাগর লাগোয়া দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর-উত্তর-পূর্বের অভিমুখে এগোবে এই নিম্নচাপ। শেষ অবধি যদি সত্যিই এই দিকে এগোয় তাহলে মায়ানমার অথবা লাগোয়া বাংলাদেশে তা যাওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে বাংলার তেমন চিন্তার কিছু নেই বললেই চলে! হাওয়া অফিসের এই পূর্বাভাসের পর রাজ্যবাসী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে বলেই অনুমান।