বাংলাহান্ট ডেস্ক : একের পর এক নিম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্তের জেরে দেশের বিভিন্ন এলাকা জলবন্দী। মাত্রারিক্তভাবে জল বেড়েছে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে। তবে এই বছর গোটা দেশে সমানভাবে কিন্তু বৃষ্টিপাত হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
দেশের কোনও অংশে অতিবৃষ্টির ফলে দেখা দিয়েছে বন্যা, আবার অন্য কোনও অংশে অনাবৃষ্টির ফলে খরা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নজিরবিহীন ভাবে বন্যার কবলে পড়েছে দেশের রাজধানী দিল্লি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। আবার তার ঠিক বিপরীত চিত্র দেখা গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal)।
বর্ষার শেষ লগ্নেও বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ জেলায়। এই আবহেই হাওয়া অফিস জানাচ্ছে বঙ্গোপসাগরের সৃষ্টি হয়েছে একটি নতুন ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপের। IMD এর পক্ষ থেকে বুধবার জারি করা বুলেটিনে বলা হয়েছে, একটি গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে।
এই নিম্নচাপটি ধীরে ধীরে তার শক্তি বৃদ্ধি করছে। অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ উড়িষ্যা উপকূলের দিকে ক্রমশ অগ্রসর হবে এই নিম্নচাপটি। এই নিম্নচাপের ফলে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দুই রাজ্যে। কিন্তু এই নিম্নচাপের কতটা প্রভাব পড়তে চলেছে বাংলায়?
আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, একটি ঘূর্নাবর্তের সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭.৬ কিলোমিটার উপরে। ধীরে ধীরে শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে এই ঘূর্নাবর্তের। এর থেকেই নিম্নচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে উড়িষ্যার দক্ষিণ উপকূলে।
হাওয়া অফিস ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে
উড়িষ্যার কোরাপুট, নবরঙ্গপুর, কালাহান্ডি, নুয়াপদা, বলঙ্গির, সোনেপুর, বারদড়, সমবলপুর, ঝারসুগুডা, সুন্দরগড়, দেওঘর, অঙ্গুল, কেওনঝড়, বালেশ্বর, সুন্দরগড়, বারগড়, ঝারসুগুডা, দেওঘর, কেওনঝড়, ময়ূরভঞ্জ এবং ভদ্রকে।
একই সাথে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, ছত্তিশগড়, সিকিম, ওডিশা, অরুণাচল প্রদেশ, অসম, মেঘালয়, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, গোয়া, অন্ধ্র প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ এবং তেলঙ্গানায়।