বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ঘুর্নবাতের প্রভাবে আগামী ৪৮ ঘন্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতে ভাসবে শহর কলকাতা সহ দক্ষিণ এর জেলাগুলির বিস্তীর্ণ অঞ্চল। উত্তর এর জেলা গুলিতেও হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বর্তমান। সন্ধ্যের দিকে প্রায় ৬০-৭০ কিমি বেগে ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ, হরিয়ানায় জোড়া ঘূর্ণাবর্ত উত্তর প্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে বিস্তৃত। আন্দামান সাগরে নিম্নচাপ ঘূর্ণাবর্ত দুর্বল হয়ে, নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রবেশ করতে পারে উত্তর-পশ্চিম ভারতের দেশগুলোতে।
শহরের তাপমাত্রা
কলকাতা (Kolkata) শহরের সকালে তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আজকে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৫ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। সকাল রোদ ঝলমলে,প্যাচপ্যাচে গরম আবহাওয়া থাকলে, বেলা বাড়ার সাথে সাথে আবছা হতে শুরু করবে। বেশ কয়েকটি জায়গায় বজ্র বিদ্যুৎসহ ঝড় বৃষ্টিরও সম্ভাবনার কথা জানান দিল হাওয়া অফিস
বৃষ্টির আশঙ্কা
সন্ধের দিক থেকে শুরু করে আগামী দুই-তিন দিন দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে প্রবল ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যের সর্বত্রই রয়েছে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
কি ছিল আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস?
আবহাওয়া অধিদফতর পূর্বাভাস দিয়েছিল যে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এই বছর গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহের প্রকোপ আগের বছরের তুলনায় বেশি হবে। বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে গড় তাপমাত্রা 0.5 থেকে 1.0 ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে বলে আশা করা হয়েছিল।
বলা হয়েছিল, ২০২০ সালে মার্চ থেকে মে অবধি এই তিন মাসের তাপমাত্রা গড় স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে ০.৫ থেকে ১ ডিগ্রী বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে। এর পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম দিকের বেশ কয়েকটি জেলায়ও গরম বাড়তে পারে। পুরুলিয়া (Purulia), বাঁকুড়া (Bankura), বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাগুলিতে গরম পড়বে। আবার বেশকিছু জায়গায় যেমন হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh), উত্তরাখণ্ড, পশ্চিম রাজস্থান ও অরুণাচল প্রদেশে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের ১ ডিগ্রির থেকেও বেশি বাড়বে।