আরব সাগরে তৈরি হয়েছে জোড়া ঘূর্ণিঝড়, সতর্কবার্তা জারী করল আবহাওয়া দফতর

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চলছে আবহাওয়া (Weather) পরিবর্তনের খেলা। কখনও মেঘ আবার কখনও বজ্রপাতযুক্ত প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটতে দেখা যচ্ছে রাজ্যে। গতকাল রাতের মুঝলধারে বৃষ্টি এবং সেইসঙ্গে বজ্রপাতের পরবর্তীতে সোমবার সকালে রোদ উঠেছে ঝলমলিয়ে। এরই মাঝে, আবহাওয়া দফতর (Weather office) জানাচ্ছে আমফানের পর আরব সাগরে এক ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ শক্তিবৃদ্ধি করে দু একদিনের মধ্যেই আছড়ে পড়তে চলেছে মহারাষ্ট্র ও গুজরাট অঞ্চলে।

আর একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্ট হচ্ছে, যা আফ্রিকা উপকূল ঘেষে ওমানের দিকে বাঁক নিতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে মৌসম ভবনে ঘূর্ণিঝড় বিশরদ সুনীতা দেবী জানিয়েছেন, এই ঘূর্ণিঝড় আগামী ২৪ ঘণ্টায় পূর্ব মধ্য আরব সাগরের গচীর নিম্নচাপ সৃষ্টি করতে পারে।

pti6 28 2017 000163b 1587726777

সতর্কতা জারী
সৃষ্ট এই ঝড়ের তীব্রতা সম্পর্কে এখনই কিছু সঠিকভাবে জানানো সম্ভব হয়নি। তবে আগামী এক- দুদিনের মধ্যে জানানো সম্ভব হবে। এই সময়কালে সমদ্র উপকূলবর্তী মানুষজনকে সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে এবং সেই সঙ্গে সমুদ্র যাত্রা থেকে নিষেধ করা হয়েছে।

শহরের তাপমাত্রা
আজ সকাল থেকেই কলকাতা (Kolkata) শহরের রোদ ঝলমলে আকাশ দেখা যাচ্ছে। গতকাল শহররে তাপমাত্রা ছিল, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। তবে আজ তাপমাত্রার বিশেষ একটা হেরফের লক্ষ্য করা নাও যেতে পারে। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থকাবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। সকালের দিকে হালকা রোদ ঝলমলে আকাশ থাকলেও, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কয়েকটি জায়গায় হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত এবং সেই সঙ্গে বজ্রপাতেরও আশঙ্কা জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।

rain 1 4

বৃষ্টির কারণ
আবার, পূবালী ও দক্ষিণী হওয়ার জেরে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয়বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে ফলে নতুন করে বৃষ্টির সম্ভাবনা দুই বাংলায়। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে যে, আগামী কয়েকদিন বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায়। বৃষ্টিতে ভিজবে শহর কলকাতাও। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলাগুলির পাশাপাশি বীরভূম ও মালদহেও শুরু হয়ে গেছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত। রবিবার ও সোমবার দক্ষিণবঙ্গে এবং আরও ৪৮ ঘণ্টা উত্তরবঙ্গে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি অসম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা ও অরুণাচল প্রদেশেও রয়েছে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর