বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তাপমাত্রার পারদ নামিয়ে আবহাওয়ার (Weather) পরিবর্তন ঘটাতে মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই দক্ষিণ বঙ্গের বেশ কিছু এলাকায় বর্ষা প্রবেশ করতে চলেছে। তবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবার সম্ভাবনাই বেশি। তবে উত্তর-পূর্ব ভারত এবং সিকিমের বেশ কিছু অংশে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানাল আবহাওয়া দফতর (Weather office)।
মধ্য-আরব সাগর, গোয়া, কোঙ্কন, কর্ণাটক, উপকূলীয় অন্ধ্র প্রদেশ, রায়লসিমা, মধ্য ও উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর-পূর্বের কিছু অংশে প্রবেশ করতে চলেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মোসুমী বায়ু। ফলে দক্ষিণের পাঁচ রাজ্য প্রবল বৃষ্টিতে ভাসার আশঙ্কা।
বাংলায় বর্ষা
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের জেরে ওড়িশাসহ বাংলা ভিজবে এবার বর্ষায়। মৌসম ভবনের রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডেও হবে ভারী বৃষ্টিপাত। প্রকৃতিকে স্বস্তি দিতে ১১ ই জুন থেকে ১২ ই জুনের মধ্যে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটাতে বর্ষা ঢুকছে রাজ্যে। প্রচণ্ড গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত প্রাণীকূলের। চাইছে একটু স্বস্তির বৃষ্টি। আমফানের জেরে বিস্তীর্ণ অঞ্চল এখনও জলের নিচে থাকলেও, গরমে কষ্ট পাচ্ছেন তারাও। বর্ষা এসে প্রকৃতিকে ঠাণ্ডা করলে, কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলবে তাঁদের।
শহরের তাপমাত্রা
আজ সকাল থেকেই কলকাতা (Kolkata) শহরে রোদ ঝলমলে আকাশ দেখা যাচ্ছে। সকাল থেকেই গরম অনুভূত হতে শুরু করেছে। গতকাল শহররে তাপমাত্রা ছিল, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আজ তাপমাত্রা কিছুটা হলেও কমতে পারে। আজ সর্বোচ তাপমাত্রা থাকবে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকেব ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।
সকাল থেকেই অন্যান্য দিনের মতো রোদের তেজ অনুভূত না হলেও, ভ্যাপসা গরম কিন্তু অনুভূত হচ্ছে। তবে আজ বেশ কয়েকটি জায়গায় হালকা বজ্র বিদ্যুতসহ বৃষ্টি এবং সঙ্গে ঝড়েরও আশঙ্কা করছে হাওয়া অফিস। এবং সেই সঙ্গে বইতে পারে দমকা বাতাসও।
প্রবল গ্রীষ্মে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সংকেত
আবার, আবহাওয়াবিদরা আগেই জানিয়েছিলেন যে, এবছর গরম বাড়বে। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে বৃদ্ধি পাবে কিছু কিছু অঞ্চলে। আবার কিছু কিছু জায়গায় ১ ডিগ্রির থেকেও বেশি বৃদ্ধি পাবে। তবে তাপমাত্রার পারদ ওঠা নামা করবে। যার দরুণ তাপমাত্রা বাড়বে , আবার কমবেও। একটানা বেশি গরম পড়বে না। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকবে। এই বিষয়টাও কিছু প্রকাশ পাচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে, আবার ঝড় বৃষ্টির আশঙ্কা থাকছে।