বাংলাহান্ট ডেস্কঃ তাইল্যান্ড প্রদত্ত নাম আমফান, আবহাওয়ার (Weather) পরিবর্তন করতে শুরু করে দিয়েছে। শনিবার পেরিয়ে রবিবার এই ঘূর্ণিঝড় পরিণত হতে পারে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে। মঙ্গলবার ১৭০-২০০ কিমি/ ঘন্টা বেগে ধেয়ে আসতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather office) জানাচ্ছে মঙ্গল-বুধবারের মধ্যে বাংলায় আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড় আমফান, সেই সঙ্গে সঙ্গী হবে প্রবল ঝড় বৃষ্টি।
ধেয়ে আসছে আমফান
জলভাগকে ছেড়ে যত বেশি স্থলভাগের দিকে এগোবে এই ঝড়ের শক্তি ততই দুর্বল হয়ে পড়বে। তবে ঠিক কতটা শক্তি নিয়ে স্থলভাগে ঢুকবে, তা স্থির করতে বলতে পারছেন না আবহাওয়াবিদরা। বর্তমানে দিঘা থেকে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার দূরে এবং ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে প্রায় ১০৬০ কিমি দূরে রয়েছে আমফান। তবে ঠিক কখন এবং কিভাবে ধেয়ে আসবে, তা সঠিকভাবে এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানালেন কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
শহরের তাপমাত্রা
গতকাল কলকাতা (Kolkata) শহরের সকালে তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আজকে শহরের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।
সকাল থেকে রোদের ঝলকানি, প্যাচপ্যাচে গরম আবহাওয়া থাকলে, বেলা বাড়ার সাথে সাথে রোদের তেজ কমতে শুরু করবে। ক্রমশ মেঘ কমতে শুরু করবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ
আসন্ন ঘূর্ণীঝড়ের আশঙ্কায় সমদ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। বিশেষত যারা গভীর সমুদ্র এবং বঙ্গোপসাগরের দিকে রয়েছেন তাঁদের আগামী সোমবাররে মধ্যেই স্থলভাগে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা উপকূল এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকা থেকে মৎস্যজীবীদের বঙ্গোপসাগর এলাকায় মাছ ধরতে নিষেধ করা হয়েছে।