বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বঙ্গোপসাগরে প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে আবহাওয়ার (Weather) বিরাট হারে পরিবর্তন করতে উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আমফান (super cyclone amphan)। স্থলভাগ দিয়ে যাবার সময় ১৮৫ কিমি বেগেও যেতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। দিঘার থেকে ৮৯০ কিলোমিটার দূরে এবং ওড়িশার পারাদ্বীপের থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এই ঝড়। ২০ তারিখ সন্ধ্যার দিকে দিঘা ও হাতিয়া দ্বীপের মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ সীমান্ত পার হতে পারে চলে যাবার সম্ভাবনার কথা জানান দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর (Weather office)।
গৃহীত সতর্কতা
আমফানের বিষয়কে কেন্দ্র করে সোমবার কলকাতা পুরসভায় এক জরুরী বৈঠকের আয়জন করা হয়। ২৪ ঘণ্টার জন্য চালু করা হয় কন্ট্রোল রুমও। পাম্পিং স্টেশনগুলোতেও আগাম সতর্কতা জারী করা হয়েছে। এমনকি কলকাতারা বহু বিপদ্দজঙ্ক বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের সরে আসার জন্যও বলা হয়েছে।
ঝড়ের গতিবেগ বেশি থাকার কারণে, পুরনো বাড়িও ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নবান্নের তরফ থেকে খোলা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার হেল্প লাইন নম্বরও। এই ঝড়ের ভয়াবহতা ঠিক কতটা তা এখনই সঠিকভাবে জানাতে পারছে না হাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে সঙ্গী হবে প্রবল ঝড় বৃষ্টি।
শহরের তাপমাত্রা
গতকাল কলকাতা (Kolkata) শহরের সকালে তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আজকে শহরের তাপমাত্রা বেশ কিছুটাকমতে পারে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।
সকাল থেকে মেঘলা আকাশ বিরাজ করছে। আমফানের আগমনের কারণে প্রকৃতি শান্ত হয়ে রয়েছে। বিকালের দিকে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টি, এমনকি বজ্রপাতও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আভাস দিচ্ছে হাওয়া অফিস।
সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ
আসন্ন ঘূর্ণীঝড়ের আশঙ্কায় সমদ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। বিশেষত যারা গভীর সমুদ্র এবং বঙ্গোপসাগরের দিকে রয়েছেন তাঁদের স্থলভাগে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা উপকূল এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকা থেকে মৎস্যজীবীদের বঙ্গোপসাগর এলাকায় মাছ ধরতে নিষেধ করা হয়েছে।