বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে আবহাওয়ার (weather) বড়সড় পরিবর্তন দেখা গেল। করোনা ভাইরাসের (COVID-19) কারণে জারী হওয়ায় লকডাউন মানছিলেন না অনেকেই। এবার এই বৃষ্টির কারণে লকডাউন মানতে বাধ্য হবে নাগরিকরা। সেই কারণে তবে এবার প্রশাসনের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিতে পারে প্রকৃতি। স্থলভাগে প্রচুর জলীয় বাষ্প তৈরি হওয়ার দরুণ সোমবার রাত থেকেই শুরু হয়ে গেছে প্রবল ঝড় (Storm) বৃষ্টি (Rain)। কিছু কিছু জায়গায় বজ্রপাতও ঘটতে দেখা গেছে। চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে পরিবেশে। ঝড় বৃষ্টি হওয়ার কারণে নেমেছে কলকাতার তাপমাত্রার পারদও। মঙ্গলবার সকাল থেকেও সেই উত্তাল পরিবেশের আবহাওয়া বিরাজ করেছে। তবে আগামী শুক্রবার অবধি রাজ্যে এরকমই ঝড় বৃষ্টির আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দফতর (Weather office)।
উত্তরের এবং দক্ষিণের জেলাগুলিতে ৪ দিন টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহবৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে ঝড় হতে পারে ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে। আগামী ২-৩ দিন রাতের তাপমাত্রার কোনও পরিবর্তন হবে না। তবে ভারী বা অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই৷ নেই কোনো নিম্নচাপ বা পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব। হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে গোটা উত্তর বাংলাতেই। আবার দক্ষিণ বঙ্গের জেলাগুলোতে ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিমি বেগেও ঝড় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে রাতের তাপমাত্রার কোন পরিবর্তন হবে না।
গতকাল শহর কলকাতার (Kolkata) তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩৫ ডিগ্রির আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। সোমবার রাত থেকে প্রবল ঝড় বৃষ্টির দরুণ আজ বেশ কিছুটা কমেছে কলকাতার তপমাত্রা। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৩ ডিগ্রির আশেপাশে। বাতাসে এখনও প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাস্প থাকার দরুণ মেঘ করে রয়েছে সর্বত্র। আজ বিভিন্ন জায়গায় হতে পারে বজ্রবিদ্যুত সহ প্রবল ঝড় বৃষ্টি। তাঁর সাথে দমকা হাওয়াও বইবে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
আবার, আবহাওয়াবিদরা আগেই জানিয়েছিলেন যে, এবছর গরম বাড়বে। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে বৃদ্ধি পাবে কিছু কিছু অঞ্চলে। আবার কিছু কিছু জায়গায় ১ ডিগ্রির থেকেও বেশি বৃদ্ধি পাবে। তবে তাপমাত্রার পারদ ওঠা নামা করবে। যার দরুণ তাপমাত্রা বাড়বে , আবার কমবেও। একটানা বেশি গরম পড়বে না। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকবে। এই বিষয়টাও কিছু প্রকাশ পাচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে, আবার ঝড় বৃষ্টির আশঙ্কা থাকছে।